চন্দনাইশ উপজেলার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর

2

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশ উপজেলা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি যৌথভাবে স্বাক্ষর করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে উপজেলার কর্মসম্পাদনের সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়। সাম্প্রতিক অর্জন, চ্যালেঞ্জ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে- চন্দনাইশকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা। ভূমি অফিসে অনলাইনে নামজারী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা। প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে অনলাইন প্রক্রিয়ায় নাগরিক সেবা প্রদান করা। শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিকতা, সততা চর্চা, উপজেলার ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান, নৈতিকতা, দক্ষ মানবসম্পাদ সৃষ্টি, মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতার লক্ষ্যে পোস্টার-ব্যানার-লিফলেট বিতরণ করা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় এলাকার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, উপজেলার সকল ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করে স্বাবলম্বি করে পুনর্বাসন করা, বাস ও ট্রাক ট্রার্মিনাল স্থাপন, মহাসড়কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, নামজারি কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণ, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, যৌতুক, সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে মাদক বিরোধী সমাবেশ করা, সম্ভব্য অর্জনের মধ্যে মাদকে জিরো টলারেন্স, সার্টিফিকেট মামলা নিষ্পত্তি, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বাস্তবায়ন, অপরাধ দমন, ৯০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা।
উপজেলার দপ্তরসমূহে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, সচ্ছতা, গতিশীলতা, উন্নয়ন সহায়ক, জবাবদিহিতা জোরদার করে সুশাসন নিশ্চিত ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করা। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন, উদ্ভাবনী চর্চার মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি সরকার কর্তৃক ৩ বছর মেয়াদী কর্ম পরিকল্পনা- কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, জনস্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা, নারী ও শিশু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কল্যাণ, প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক সকল নীতিমালা, কর্মসূচি, বাস্তবায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ ও পুনবাসন কার্যক্রমে জিআর, টিআর, কাবিখা, কাবিটা, ভিজিডি, ভিজিএফ, দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কার্যক্রম বাস্তবায়ন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা প্রয়োগ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, বিদেশী নাগরিক ও ভিআইপিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা, সামাজিক সমস্যা, যৌন হয়রানি, নারী নির্যাতন, মাদক সেবন, চোরাচালান, যৌতুক, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা। ই-মোবাইল কোর্টে মামলা নিষ্পত্তি, স্থানীয় সরকার কার্যক্রম বাস্তবায়ন, এনজিও কার্যক্রমে তদারকি করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়োজনে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবেন।