চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি

13

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। এ কারণে আবহাওয়া অফিস ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলায় চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় আগাম প্রস্ততির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে রেমালের প্রভাবে গতকাল শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটে। তবে বন্দরের জেটিতে পণ্য ওঠানামার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোবাবিলায় পুরাপুরি প্রস্তুত রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে বন্দরেরনিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বন্দর জেটি এবং বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা মেনে নিজস্ব অ্যালার্ট জারি করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, আবহাওয়া অফিস ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া ৫, ৬ ও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করে। তখন বহির্নোঙর ও জেটিতে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। জেটি থেকে জাহাজগুলো বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করে। তখন বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।