চট্টগ্রামে ৫ কি.মি. পদযাত্রার পর ডিসিকে স্মারকলিপি

25

চবি প্রতিনিধি

সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটা বাতিল, কোটা আন্দোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার দুপুর ১টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এর আগে সকাল ১১ টায় নগরীর ষোলশহর স্টেশনে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে পদযাত্রা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অভিমুখে রওনা হন তারা। ২ নং গেট, জিইসি, কাজীর দেওড়ি, লাভলেন হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। পদযাত্রায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চবি অধিভুক্ত কলেজ, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এরপর চবি সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, সহ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) সাথে সাক্ষাৎ করেন।
রাসেল আহমেদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় আজ জেলা প্রশাসকের নিকট আমরা স্মারকলিপি প্রদান করেছি। তারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের আহŸানটি পৌঁছে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। আশা করছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের যৌক্তিক দাবিটা মেনে নিয়ে পড়ার টেবিলে ফেরাবেন।স্মারকলিপি গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মালেক বলেন, ছাত্ররা মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে এ স্মারকলিপি পৌঁছে দিব।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে বাধিত করবেন। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবে। ছাত্র সমাজ দীর্ঘদিন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে রাজপথে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন করে যাচ্ছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হোক আমরা তা চাই না। আমরা দ্রæতই পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। ছাত্র সমাজ আশা রাখে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে বাধিত করবেন। অন্যথায় ছাত্র সমাজ নিজেদের অধিকার আদায়, বৈষম্যমুক্ত ও মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।