চট্টগ্রামে ৩৫ হাজার ৪৭১ জনের রেজিস্ট্রেশন

15

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চট্টগ্রামের ৩০টি থানা এবং ১৫টি উপজেলায় ৩৫ হাজার ৪৭১ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চার হাজার ১৫০ জনের পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে রাউজান উপজেলায়। সীতাকুন্ড উপজেলায় তিন হাজার ৮১৬জন ও বাঁশখালী উপজেলায় দুই হাজার ৮৫৪ জন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশন করে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে। প্রতিটি উপজেলায় বেসরকারি চাকরিজীবী, মধ্যবিত্ত শ্রেণি, ব্যবসায়ী, মৎস্যজীবী, ইমাম, শিক্ষক, পরিবহন শ্রমিক থেকে শুরু করে দিনমজুর পর্যন্ত পেনশন স্কিমের আওতায় এসেছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে সর্বজনীন পেনশনে স্কিমে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে আকবরশাহ থানায় ৬৩ জন, আনোয়ারা উপজেলায় ২৪৫৫ জন, ইপিজেড থানায় ৩৫ জন, কর্ণফুলী উপজেলায় ২,০৬২ জন, কোতোয়ালী থানায় ১৭৬ জন, খুলশী থানায় ৭৭ জন, চকবাজার থানায় ৩৩ জন, চন্দনাইশ উপজেলায় ২,৭২৯ জন, চান্দগাঁও থানায় ১০৫ জন, ডবলমুরিং থানায় ৭৯ জন, পটিয়া উপজেলায় ২,৩৩৭ জন, পতেঙ্গা থানায় ৩০ জন, পাঁচলাইশ থানায় ৫৯ জন, পাহাড়তলী থানায় ৪৪ জন, বন্দর থানায় ৪৭ জন, বাকলিয়া থানায় ৪৪ জন, বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৫৩ জন, সদরঘাট থানায় ২১ জন, ফটিকছড়ি উপজেলায় ২,৩৬২ জন, বাঁশখালী উপজেলায় ২,৮৫৪ জন, বোয়ালখালী উপজেলায় ২,০২৪ জন, মিরসরাই উপজেলায় ১,৯৬২ জন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ১,৩৫৭ জন, লোহাগাড়া উপজেলায় ১,৬৩৭ জন, স›দ্বীপ উপজেলায় ১,৪১৯ জন, সাতকানিয়া উপজেলায় ১,৯৭৫জন, সীতাকুন্ড উপজেলায় ৩,৮১৬ জন, হাটহাজারী উপজেলায় ১,৩৬৩ জন, রাউজান উপজেলায় ৪,১৫০ জন, হালিশহর থানায় ৬৪ জন। এ নিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার ৪৭১ জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় নিয়োজিতসহ সর্বসাধারণকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নানাবিধ উপকারিতা জানাতে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা করে উপজেলা প্রশাসন। মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, ইমাম সমাবেশ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম হেল্প ডেক্স স্থাপন, সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হেল্পডেক্স স্থাপন এবং বিভিন্ন গ্রোথ সেন্টারে স্পট রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে এটি বেগবান করেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যারা রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তাদেরকে উপজেলা সমন্বয় সভায় পুরস্কার প্রদান করার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হয়েছে।
দেশের জনগণের গড় আয়ুবৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে এবং ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে নির্ভশীলতার হার বৃদ্ধি পাবে বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এ আইনের আলোকে গঠিত জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।