চট্টগ্রামে সাক্ষরতার হারে পিছিয়ে বাঁশখালী

30

আসাদুজ্জামান রিপন

সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের সাক্ষরতার হারে চট্টগ্রামে পিছিয়ে আছে বাঁশখালী উপজেলা। জেলায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছে হাটহাজারী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর চট্টগ্রামে তা ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ। যেখানে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৮২ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং নারীর ৭৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। আলাদাভাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় সাক্ষরতার হার ৮৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তাছাড়া আনোয়ারা উপজেলায় ৭৫ দশমিক ৯০ শতাংশ, বোয়ালখালী উপজেলায় ৮৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, চন্দনাইশে ৭৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ফটিকছড়িতে ৭৬ দশমিক ১১ শতাংশ, হাটহাজারীতে ৮৬ দশমিক ২৬ শতাংশ, কর্ণফুলীতে ৭৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, লোহাগাড়ায় ৮২ দশমিক ৪১ শতাংশ, মিরসরাইয়ে ৭৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, পটিয়ায় ৮১ দশমিক ১০ শতাংশ, রাঙ্গুনিয়ায় ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, রাউজানে ৮৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, সন্দ্বীপে ৭৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, সাতকানিয়ায় ৭৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, সীতাকুন্ডে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও বাঁশখালীতে ৭১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় সাক্ষরতার হার দেশের হারের প্রায় সমান হলেও একমাত্র বাঁশখালী ছাড়া অন্য সব উপজেলার সাক্ষরতার হার সারাদেশের হারের তুলনায় বেশি।
এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদরা বলছেন, অভিভাবকের দায়িত্বহীনতা ও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সাক্ষরতায় এখনো অনেক পিছিয়ে। নিরক্ষতার হার হ্রাস করতে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে এগিয়ে আসতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরক্ষরতা দূরীকরণে কয়েকটি প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা উপজেলাগুলোর জন্য নতুন প্রকল্প আসছে।
শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারা আলম বলেন, পারিবারিক অসচেতনতা আর আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে শিক্ষা থেকে অনেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ হার মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি। গ্রামীণ এলাকায় নিরাপত্তার ইস্যু থাকে। তাছাড়া সমাজের বিত্তবানদের একটা প্রভাব থাকে। মূল কারণ খুঁজে বের করা গেলে সাক্ষরতার হার বাড়ানো সম্ভব।
চট্টগ্রাম জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মো. রনি আহম্মেদ বলেন, শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বাঁশখালীতে বেশি। এর অধিকাংশই সুবিধাবঞ্চিত। পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে অভিভাবকরা শিশুদের কাজে দিয়ে দেয়। এদের নিয়ে কয়েকটি প্রকল্প চলমান। শুধু বাঁশখালীতে সরকারের ‘আলো প্রজেক্ট’ শিঘ্রই শুরু হবে। এ প্রজেক্ট জেলার মধ্যে শুধু বাঁশখালীতে হবে। এটি পাস হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেট পেলে কয়েক মাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করব।