চট্টগ্রামে ‘ভিটামিন-এ প্লাস’ পাবে সাড়ে ১৩ লাখ শিশু

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মহানগর ও ১৫ উপজেলার ১৩ লাখ ৭৭ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ‘ভিটামিন-এ প্লাস’। আগামীকাল শনিবার ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলবে। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ৮ লাখ ৩২ হাজার ১৭৯ জন শিশু এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এলাকায় ৫ লাখ ৪৫ হাজার শিশুকে এ ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চসিকের পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, জেলায় ৮ লাখ ৩২ হাজার ১৭৯ শিশুকে লাল ও নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে কাজ করছেন। পাশাপাশি শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে আরও সচেতন হতে পারে। সমাজের নানা কুসংস্কার দূর করে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। আমাদের গ্রামে জন্মের পর শিশুকে মধু খাওয়ানো হয়। বলা হয়, এতে শিশুর মুখের ভাষা মিষ্টি হয়। কিন্তু এক ফোঁটা মধুতে শিশুর প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সুগার থাকে। যা শিশুর মধ্যে মায়ের বুকের দুধের প্রতি অনীহা তৈরি হয়। পাশাপাশি মায়ের স্তনে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই এসব কুসংস্কার এড়িয়ে চলতে হবে।
অন্যদিকে ১ হাজার ৩২১ কেন্দ্রে ৫ লাখ ৪৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাসের ৮৫ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। চসিক জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইমাম হোসেন রানা।এর আগে গতবারের জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাসের ৭৯ হাজার ৮৯৫ শিশুকে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮২ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিকের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, ডা. টি চক্রবর্তী, সুমন তালুকদার, হাসান মুরাদ চৌধুরী, জুুয়েল মহাজন, আকিল মাহমুদ নাফে, আবু সালেহ, হোসনে আরা, দিদারুল মুনির রুবেল, শাহনাজ আকতার, জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ প্রমুখ।