‘চট্টগ্রামে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই হচ্ছে’

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সাথে তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের এক মতবিনিময় সভা গতকাল বুধবার নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার লজিস্টিক্স ও ইকোনমিক হাবে পরিণত করতে সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। এই অঞ্চলে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর। তুর্কি ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী এবং খাদ্যের বিশাল বাজার রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজারে প্রবেশ করতে এবং ভৌগোলিক সুবিধা, বিনিয়োগবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, হালাল ফুড প্রসেসিং, আধুনিক এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি প্রতিনিধি দলকে।
তিনি বাংলাদেশের বøু ইকোনমি এবং কক্সবাজারে বিদেশিদের জন্য বিশেষায়িত নাফ ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে তুর্কি ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগেরও আহবান জানান।
প্রতিনিধি দলনেতা হেদায়েত ওনুর ওজদেন বলেন- বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হচ্ছে চট্টগ্রাম। এখানকার বন্দর সুবিধার কারণে চট্টগ্রাম ব্যবসার অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সাথে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই হচ্ছে আলোচনার মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টর উদ্ভাবন এবং বিজনেস টু বিজনেস যোগাযোগের অংশহিসেবে এই মতবিনিময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কেনান কালাইসি বলেন- ভৌগোলিক ও জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দু’দেশের মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত দূতাবাস।
এছাড়া বাংলাদেশের সাথে আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে তুর্কি দূতাবাস।
অন্যান্য বক্তারা বলেন- বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক্স, নবায়নযোগ্য জ্বালানী এবং এলএনজি গ্যাস এবং হালাল ফুডের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম জনসংখ্যা বহুল এদেশের বাজার ধরতে এবং হালাল ফুড প্রসেসিং-সহ এসব সেক্টরে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান বক্তারা।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তুর্কি সিনিয়র বাণিজ্য দূত সেলমা বারদাক্কি, বিভিন্ন সেক্টর বাণিজ্য প্রতিনিধিবৃন্দ ইজিট আকবাস, তাইলান কোবান, সামেত গাজী সেপিটসিওগলু, এরকাম ইলদিরিম, হায়দার হোকেলেকলি ও ফাতিহ আয়দিন, চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, মাহবুবুল হক মিয়া ও আখতার উদ্দিন মাহমুদ, রিয়ালেন্স শিপিং লি.’র চেয়ারম্যান মো. রাশেদ ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদ আলম, শেঠ প্রোপার্টিজ লি.’র ডিরেক্টর উমাইর আলম শেঠ, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশ’র পরিচালক লোকপ্রিয় বড়ুয়া, বাংলাদেশ শিপিং এসোসিয়েশন’র সাজ্জাদুর রহমান, এ. কে. খান গ্রুপ’র মোস্তফা এ. কে. খান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নির্বাহী সদস্য মহসিন উদ্দিন চৌধুরী, বিআরবি ক্যাবলস’র মো. জাফর আহমেদ ও গাজী নাসির উদ্দিন, নাভানা গ্রুপ’র মো. সেলিম এবং আরআর গ্রুপ’র তাসফিকুল আলম।