চট্টগ্রামে বিএনপি’র বড় শোভাযাত্রা করার প্রস্তুতি

6

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য পালন করা হয় আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। ২০০৮ সাল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বছরে বছরে কখনো সামান্য এগোয় আবার কখনো পেছায়। তবে বড় উন্নতি দেখা যায় না। চলতি বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন গণতন্ত্রের বড় উন্নতি হিসাবে দেখা হচ্ছে।
এবার গণতন্ত্র দিবসে শোভাযাত্রা করবে বিএনপি। কেন্দ্রীয়ভাবে যেমন দিবসটি পালন করা হচ্ছে, তেমনি বিভাগীয়ভাবে চট্টগ্রামেও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি জেলার নেতৃবৃন্দ এ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির কোনো একজন সদস্য শোভাযাত্রার নেতৃত্বে থাকবেন। এটাকে সবচেয়ে বড় শোভাযাত্রায় রুপ দিতে চায় দলটি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, গণতন্ত্র দিবসে চট্টগ্রামে বিভাগীয় শোভাযাত্রা করা হবে। বিশাল আকারের শোভাযাত্রা হবে এটি। স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য এতে উপস্থিত থাকবেন। দিবসটিতে আগে কখনো এমন শোভাযাত্রা হয়েছে কিনা জানি না। তবে এবার আমরা অনেক বড় শোভাযাত্রা করবো। বিভাগের সকল জেলা এতে অংশগ্রহণ করবে।
গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার আছে। গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরির ক্ষেত্রে সব নাগরিকের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ রয়েছে, যা সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে হয়ে থাকে। এককথায় বলতে গেলে, গণতন্ত্রের অর্থ জনগণের শাসন। জাতিসংঘ ২০০৭ সাল থেকে সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য প্রচলিত একটি বিশেষ দিন পালনের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এদিকে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় শোভাযাত্রা সফল করতে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত আছে। আজকে বিভিন্ন মহল থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিএনপির ছোটখাটো ভুল ত্রæটিকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। তাই জনগণের কাছে বিগত আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির ভ‚মিকা তুলে ধরতে হবে। বিএনপির প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা সেটাকে ধরে রাখতে হবে। জনগণের মন জয় করে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে।
এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, হত্যাকারী শেখ হাসিনা দেশে ছেড়ে পালিয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আজকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখান থেকে তিনি আবার বাংলাদেশের ছাত্র জনতার যে বিপ্লব সেটাকে নস্যাৎ করার বিভিন্ন চক্রান্ত শুরু করেছে। তাই ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ধরে নিয়ে এসে ছাত্র গণহত্যার বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনোরকম শৈথিল্য ছাত্র জনতা সহ্য করবে না।