চট্টগ্রামে দিনভর ভারী বৃষ্টি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

11

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার কারণে লাগাতার মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে চট্টগ্রামে। গতকাল শুক্রবার সারাদিন থেমে থেকে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। এতে নগরীর অনেক নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে যায়। এমন বৃষ্টিপাত আজও (শনিবার) সারাদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার পাহাড়ধস কিংবা ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আজ (শুক্রবার) সকাল ৯টার পর থেকে বাড়তে থাকে বৃষ্টির দাপট। এ কারণে নগরবাসীকে পোহাতে হয়েছে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিও। অবশ্য হালকা বৃষ্টিতেও জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে এ শহরের মানুষজন। একইসাথে অতি ভারি বৃষ্টির কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে দেওয়া ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারেক বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে পাহাড়ধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী (রবিবার) পরশু থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হবে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতও কমে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিম্নচাপের কারণে উপক‚লে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।’
এদিকে, সকাল থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় নগরের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে এবং অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে রয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙরে কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে কাজ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বহিনোঙর ও জেটিতে থাকা জাহাজগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে।’