‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল মিলছে’

22

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্যেও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পকে আলাদাভাবে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। এর সুফল বিগত বর্ষা মৌসুমেও কিছুটা পাওয়া গেছে এবং চলমান বর্ষা মৌসুমেও পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রকল্প নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের সাথে পর্যালোচনা সভায় মিলিত হলে, ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ শাররিফ মানি এ মন্তব্য করেন। খবর বাসস’র
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।
সভায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পকে নগরীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প উল্লেখ করে সিডিএ চেয়ারম্যান দ্রæততার সাথে কাজটি সম্পন্ন করার তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নগরবাসী সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ থেকে বহুলাংশে মুক্তি পেতে চলেছে। এ জন্য সেনাবাহিনীকে সমগ্র নগরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’- শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের কর্মকর্তাগণকে কিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং চলমান বর্ষা মৌসুমে যাতে জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ না হয়- সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে ভালবেসে চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পসমূহ প্রদান করেছেন, তা স্মরণ করে সিডিএ চেয়ারম্যান তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনের সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহŸান জানান।
৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ শাররিফ মানি বলেন, প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করলেও এর মূল উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যে আন্তরিক সহযোগিতা করছেন- তা অতুলনীয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্, সচিব মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান, উপ-সচিব অমল গুহ, অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের, প্রকল্প পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দিন, উপ-প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের সিপিসি কর্নেল মোহাম্মদ ইমরান ইসলাম ভূঁইয়া, বর্ডার রোডের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো. দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, লে. কর্নেল নিজাম, জলাবদ্ধতা নিসরন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফেরদৌস আহমেদ, মেজর মোহাম্মদ রিজওয়ানুর রহমান রিকাবদার, মেজর রাকিব ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মেজর সরদার জিয়াউর রহমান (অব.)।