চট্টগ্রামের ৫ গুণীজন পেলেন জেলা শিল্পকলা সম্মাননা

14

শিল্প-সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চট্টগ্রামের ৫ গুণীজন পেয়েছেন জেলা শিল্পকলা সম্মাননা। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রাম এক অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বিকাল ৫ টায় বর্ণাঢ্য এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মাননা তুলে দেন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।
শিল্প-সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য এবারের সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনরা হলেন কণ্ঠসঙ্গীত বিভাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়ন্তী লালা, চারুকলা বিভাগে চন্দ্র শেখর দে, ফটোগ্রাফি বিভাগে মউদুদুল আলম, নৃত্যকলায় স্বপন কুমার দাশ, নাট্যকলায় শুভ্রা বিশ্বাস।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদি উর রহমান জাদিদ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্মাননা প্রদান কমিটির সদস্য অলক ঘোষ পিন্টু, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিষদের সদস্য একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রাম কমিটির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ বলেন, বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে চট্টগ্রামে অনেক গুণীশিল্পীদের অবদান রয়েছে। অনেক গুণী ব্যক্তিত্ব যারা বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতার কারণে একুশে পদক বা শিল্পকর্মে তাদের অবদান স্বীকৃতি বঞ্চিত হচ্ছেন; শিল্পকলা একাডেমি তাদের শিল্পকর্ম এবং তাদেরকে সম্মানিত করতে চেষ্টা করছে। শিল্পকলা একাডেমি মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান প্রথা থেকে বেরিয়ে এসে শিল্পীদের জীবদ্দশায় প্রাপ্ত সম্মান দেওয়ার প্রচেষ্টায় দৃঢ়তাবদ্ধ। তিনি আরো বলেন, সংস্কৃতি চর্চার প্রসারের জন্য দেশব্যাপী সংস্কৃতি-সাহিত্য মেলাসহ টেলেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামি প্রজন্মকে সংস্কৃতি প্রেমী করে গড়ে তুলতে গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান ও তাদের শিল্পকর্মের স্বীকৃতি প্রেরণা ও উৎসাহিত করবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, তরুণ-তরুণীদের ডিজিটাল ডিভাইস আসক্ত থেকে দূরে সরিয়ে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জেলার প্রতিটি উপজেলায় খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
আলোচনা পর্ব শেষে সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও উত্তরীয় এবং সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা। সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনদের মধ্য থেকে অনুভ‚তি ব্যক্ত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়ন্তী লালা। সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন আবৃত্তি শিল্পী ফারুক তাহের ও যারীন সুবাহ।
আবৃত্তি শিল্পী ফারুক তাহেরের সঞ্চলনায় সম্মাননা অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পী এবং অতিথি শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে একক সঙ্গীত পরিবেশন করে অনিন্দিতা মুৎসুদ্দি, বিশ্বজিৎ ব্রহ্মচারী, আইভি দাশ রিউ, মাশফিয়া বিনতে কাউসার। নৃত্য শিল্পী ও প্রশিক্ষক প্রমা অবন্তী এবং অনন্য বড়ুয়ার পরিচালনায় দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যদল। বিজ্ঞপ্তি