চট্টগ্রামের সড়কে নেমেছে ট্রাফিক পুলিশ

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক সপ্তাহ পর নগরীর সড়কগুলোতে নিজ দায়িত্বে যোগ দিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে সহযোগিতায় রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সকাল থেকে তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। প্রায় সাতদিন পর চট্টগ্রামের কিছু সড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন তারা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করে নগরীর জিইসি, ওয়াসা, লালখানবাজার, টাইগারপাস ও আগ্রাবাদ এই পাঁচটি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন। আজ (মঙ্গলবার) থেকে সব পয়েন্ট ট্রাফিক পুলিশ থাকবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জিইসি ও ওয়াসা মোড়ে আগের মতো দায়িত্বে ফিরে সড়কের যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তাদেরকে সহযোগিতা করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
জিইসি মোড়ে দায়িত্বে থাকা পাঁচলাইশ থানার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মাসুদুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, গতকাল থেকে আমরা কাজে যোগ দিয়েছি। গতকাল নগরীর পাঁচটি পয়েন্টে ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করছেন। ধীরে ধীরে সব পয়েন্ট ট্রাফিক পুলিশরা কাজ শুরু করবেন।নগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি রাস্তাঘাটে আসতে যেতে দেখছি আসলে আমাদের শিক্ষার্থীরা কি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। তাদের এ উদ্যোগকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হবে। তবে আমার তাদের এ কষ্ট আর সহ্য হচ্ছে না। গতকাল সকাল থেকে নগরের গুরুত্বপ‚র্ণ পাঁচটি পয়েন্টে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে ফিরে কাজ শুরু করেছেন। তাদের সাথে প্রতিটি পয়েন্টে একজন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আছেন। প্রথমদিকে আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, ওয়াসা, লালখানবাজার এবং জিইসি এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক বিষয়ক কিছু ট্রেনিং করাবো। ট্রাফিকসহ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কোনোভাবেই যেন কোনো কুচক্রীমহল সুবিধা নিতে না পারে সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, লালখানবাজার, ওয়াসা মোড় এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিও আছেন। প্রতিটি থানায় দল গঠন করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে। পুলিশের নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে শিক্ষার্থীরা।