চকরিয়ায় বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে দুই দফা হামলা

36

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদের নির্বাচনী গণসংযোগকালে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় প্রচারণা বহরে থাকা সাংবাদিকসহ বিএনপির অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুরের কবল থেকে রক্ষা পায়নি ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী এড. হাসিনা আহমদের গাড়িসহ সাংবাদিক বহনকারী গাড়িও। হামলার পর সন্ত্রাসীরা বিএনপি কর্মীদের ২টি মোটর সাইকেলও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ও দুপর ১২টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী ও সাফারি পার্ক গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে।
চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রচারণায় গতকাল সকালে পেকুয়াস্থ নিজ বাসভবন থেকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে আসেন এড. হাসিনা আহমেদ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের একদল সশস্ত্র ক্যাডার তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়। পরে ওই এলাকা থেকে বের হয়ে আসার পথে দুপুর ১২টার দিকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক গেটের সামনে আবারও হামলার শিকার হন। হামলায় প্রচারণা বহরে থাকা সাংবাদিকসহ বিএনপির অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে হাসিনা আহমদ অক্ষত রয়েছেন। হামলাকারিরা হাসিনা আহমদের গাড়ি ও সাংবাদিকদের গাড়িসহ অন্তত ৭টি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ২টি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ক্যাডাদের সশস্ত্র হামলায় বিএনপি নেতা আলী আহমদ মেম্বার (৫০), মনজুর মেম্বার (৫২), ছাত্রদল নেতা মান্নান (২৯) ও বিএনপি নেতা হারুনসহ (৩৪) অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এড. হাসিনা আহমদ জানান, আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা তার নির্বাচনী গণসংযোগে দফায় দফায় হামলা চালালেও ঘটনাস্থলের সামান্য দূরে অবস্থান নেয়া পুলিশ সদস্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এছাড়া চকরিয়া ও পেকুয়ায় তার নির্বাচনী গণসংযোগে প্রতিদিন আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা হামলা চালালেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। পাড়া মহল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সশস্ত্র অবস্থানের ফলে এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে নির্বাচনী পরিবেশও।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী গণসংযোগে হামলার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি বলেও জানান তিনি।