চকরিয়ায় কাঙালি ভোজের আয়োজন সেনা অভিযানে পন্ড

2

চকরিয়া প্রতিনিধি

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে কাঙালি ভোজের আয়োজন পন্ড হয়ে গেছে সেনা অভিযানে। গত ১৫ আগস্ট রাতে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বরইতলী বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে একটি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে এভাবে বীরদর্পে কাঙালিভোজের আয়োজন এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কাঙালি ভোজের আয়োজন করে যারা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বরইতলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মঈনুল আমিন ইমু বলেন, সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারী করে ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়। এ নির্দেশনা অমান্য করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাঙালি ভোজের আয়োজন করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি শাহীন মুরাদ ও শিক্ষানুরাগী সদস্য মাস্টার নুরুচ্ছফা। তাদের মধ্যে শাহীন মুরাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মাস্টার নুরুচ্ছফা একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাদের এ কাঙালি ভোজের আয়োজনের ব্যাপরে বিএনপি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা হয়। কিন্তু তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে এ কাঙালি ভোজের আয়োজন করে। পরে বিষয়টি নিয়ে চকরিয়া সেনা ক্যাম্পের কন্ট্রোল রুমে অবহিত করা হলে রাত ৯টার দিকে তারা ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।
এসময় সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আয়োজকরা বিদ্যালয়ের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আইনী প্রতিকার চেয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবের একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে বলেও জানান বিএনপি নেতা এডভোকেট মঈনুল আমিন ইমু। এদিকে বিষয়টির ব্যাপারে জানতে বরইতলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শাহীন মুরাদের মুঠোফোনে কল করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য জানা যাযনি।