ঘোষিত বাজেট সুপরিকল্পিত ও ব্যবসাবান্ধব

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের ঘোষিত বাজেটকে বর্তমান সরকারের আরও একটি জনকল্যাণমুখী, সফল, যুগোপযোগী এবং সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনার এক সাহসী বাজেট হিসেবে মূল্যায়ন করে বাজেট প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সুপরিকল্পিত বাজেট হওয়ায় এটি ব্যবসাবন্ধব হয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি এ রকম একটি জনবান্ধব বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরাইল-প্যালেস্টাইন দীর্ঘ যুদ্ধের কারণে স্থবির বিশ্ব বাণিজ্য, অর্থনৈতিক মহামন্দা, নতুন মেরুকরণে বড় রাষ্ট্রগুলোর জোর প্রচেষ্টা, দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। প্রবাসী আয়েও ব্যাপক ধস, এমনই এক অর্থনৈতিক প্রতিক‚ল পরিস্থিতির মধ্যে সরকারকে এ বাজেট প্রণয়ন করতে হয়েছে অত্যন্ত সর্তকর্তার সাথে।
সরকারের বিচক্ষণতায় বিশ্ব চলমান অস্থির প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক মহামন্দায়ও সরকার চেষ্টা করেছে গণমুখী, জনবান্ধব ও শিল্পবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করা। আমাদের দেশ মূলত কৃষি প্রধান দেশ, অতীতের ন্যায় এবারও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিক্ষা প্রসার, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বাজেটে সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। সুপরিকল্পিত এই বাজেট প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনগণের সুরক্ষা ও দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসাবে ভ‚মিকা রাখবে। ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। সামগ্রিকভাবে এই বাজেট ব্যবসায়ী ও ব্যবসা বান্ধব বলে মনে হয়েছে। এ জন্য তিনি অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও অভিনন্দন জানান।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘোষিত বাজেটের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোতে দৃষ্টিপাত করে বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার স্বার্থে, জাতীয় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রপ্তানি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বিজিএমইএ’র পক্ষে কিছু প্রস্তাবনাও তুলে ধরেন।
প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- উৎসে কর আগামি ৫ বছরের জন্য ০.৫০ শতাংশ করা, বিকল্প ইনসেনটিভ প্রবর্তন না করা পর্যন্ত (২০২৯ সাল পর্যন্ত) পোশাক খাতের চলমান সকল ইনসেনটিভ অব্যাহত রাখা, নগদ সহায়তার উপর আরোপকৃত ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহার, পোশাক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, ঐঝ ঈড়ফব ও ওভেন কাপড়ের ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা, ঊজছ এর উপর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা, এক্সিট পলিসি এবং এক্সপোর্ট ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা প্রবর্তন করা, নন-কটন বস্ত্র ও পোশাকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বিশেষ নীতি সহায়তা, শ্রমিকদের জন্য ফুড রেশনিং বাবদ বিশেষ বরাদ্দ, অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানির উপর কর রেয়াত।