‘গৌতম বুদ্ধ পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে এসেছিলেন’

6

প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে উদ্যাপিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত বৌদ্ধ মন্দিরে এ উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা পালিত হচ্ছে। বুধবার সকাল ১০টায় হাজারী লেনস্থ ক্যাম্পাসে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা। তিনি বলেন, গৌতম বুদ্ধ পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে এসেছিলেন। তিনি সমগ্র প্রাণীজগতের সুখী হওয়ার কথা বলেছেন। আজকের যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অশান্ত পৃথিবীতে বুদ্ধ আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। আমাদের রিপুকে প্রশমিত করতে হবে. তবেই মানুষের মাঝে শান্তি ফিরে আসবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এবং প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। উৎসব ও ধর্মের মাঝে যে একটি সুক্ষ দেয়াল রয়েছে, তা সবাইকে উপলব্ধী করতে হবে। যে কোন ধর্মেও বা অঞ্চলের উৎসবে সকলেই অংশগ্রহণ করতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই সে ধর্মের রীতি-নীতি ও ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে সম্মানপূর্বক সহযোগিতা করতে হবে। বর্তমানে ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার প্রতিফলন দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্যের ধর্ম, সংস্কৃতি নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার আমাদের কারোরই নেই।
আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিল্লোল সাহার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আহমেদ রাজীব চৌধুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবাল, ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান টোটন চন্দ্র মল্লিক, ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিংশুক ধর, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুর রহিম প্রমুখ।
উল্লেখ, শিক্ষার্থীদের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উন্নত মানবিক চেতনা ছড়িয়ে দিতে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ পাশাপাশি চার প্রধান ধর্মের উপাসনালয় সৃষ্টি করেছে। হাজারী লেন ক্যাম্পাসের নিচতলায় রয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বী পুরুষ ও নারীদের পৃথক ইবাদতখানা, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ধর্মের অনুসারীদের জন্য পৃথক উপাসনাকক্ষ। বিজ্ঞপ্তি