‘গো ব্যাক’ স্লোগান উঠলো মিমি ও ঋতুপর্ণাকে ঘিরে

4

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রতিবাদীদের হাতের মোমবাতি নিভিয়ে হামলা, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠলো পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের মাথাভাঙায়। গোটা পশ্চিমবঙ্গ যখন পথে নেমে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে, তখন মাথাভাঙায় মুছে দেওয়া হলো রাস্তায় লেখা স্লোগান ও ছবি। অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ছবি এঁকে, গান গেয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। আচমকা একদল লোক এসে জল ঢেলে সব অঙ্কন মুছে দেন বলে অভিযোগ।
প্রতিবাদীরা রীতিমতো চমকে যান এই আকস্মিক হামলায়। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি কলকাতায় আছেন। এই বিষয়ে কিছু জানেন না, তাই কথা বলবেন না।
তৃণমূলের শহর সভাপতির আঁকা মোছার কথা স্বীকার করে নেন। শুধু তাই নয়, যুক্তি দিয়ে বোঝান, কেন এমন করা হলো। তিনি বলেন, তিলোত্তমার ছবি রাস্তায় যে আঁকা থাকবে, এই রাস্তা দিয়ে অনেকে হাঁটাচলা করবে। তার ওপর পা পড়বে। যারা এঁকেছে, তাদের কোনও কাÐজ্ঞান নেই। আমরাও জাস্টিস চাই। কিন্তু এই জাস্টিসের নাম করে সিপিএম ও বিজেপির দালালরা অন্য খেলা খেলতে চাইছে। তার প্রতিবাদ জানাই। শুধু ছবি আঁকাই নয়, রীতিমতো ধস্তাধস্তির ছবিও দেখা যায় মাথাভাঙায়।
বুধবার রাতে বারাসত ডাকবাংলা মোড় থেকে প্রতিবাদ মিছিলে শেষের কিছুটা আগেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন দুই নারী। তাদের মধ্যে একজনের ছেলে নিতে আসেন।
যুবকের দাবি, তিনি এসে দেখেন এক মদ্যপ্য অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করছে তার মা ও সঙ্গে থাকা আরও এক নারীকে। প্রতিবাদ করেন যুবক। অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি মারধর করে তাকে। পরে দুই নারী প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরা ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও গায়ে হাত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরে ছুটে গিয়ে পুলিশকে অভিযোগ জানান ওই যুবক। পুলিশ এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বারাসত থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি। গোটা ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বারাসত থানার পুলিশ।
গতবারের মতো এবারও যাদবপুরে অবস্থান হয়। আন্দোলনকারীরা গান, পথ নাটকে প্রতিবাদের সুর তুলছিলেন। সেখানেই ছন্দ কাটে এক ব্যক্তির অভব্য আচরণে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি জমায়েতের মাঝে নারীদের সঙ্গে অসভ্যতামি করছিলেন। সে এক নারীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। এরপরই প্রতিবাদীরা তাকে পাকড়াও করে এবং পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে যে ধৃত ব্যক্তিকে নানাভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। পরে ধৃতকে যাদবপুর থানায় আনা হয়। অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও, তাকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।