গুণী ব্যক্তির কদর জীবিতকালীন করলেই নতুন প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে : চবি উপাচার্য

5

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, গুণী ব্যক্তির কদর জীবিতকালীন করলেই নতুন প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে। সমাজে যাঁরা সাহিত্যে, শিক্ষায়, দীক্ষায়, দেশপ্রেমে ব্যতিক্রমধর্মী কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে সাধারণে অসাধারণ হয়ে লোকসমাজ তথা রাষ্ট্র ও বহির্বিশ্বে দ্যুতি ছড়ায়, তাঁদেরকেই আমরা অনুকরণীয় দৃষ্টান্তরূপে গ্রহণ করার চেষ্টা করি। প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু তেমনই একজন একাধারে গবেষক, সাহিত্যিক, সমাজ সংস্কারক, শিক্ষানুরাগী, ধর্মীয় গুরু এবং দেশপ্রেমিক বরেণ্য ব্যক্তি হিসেবে জনমানসে শুধু নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবেও একুশে পদক অর্জন করে বিরল কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি গত ১ জুন বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষুর নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও আশীর্বাদক ছিলেন বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু উপ-সংঘরাজ শাসনস্তম্ভ ভদন্ত ধর্মপ্রিয় মহাস্থবির। নাগরিক সংবর্ধনা পর্ষদের আহব্বায়ক প্রফেসর মোস্তফা কামাল যাত্রার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাড. প্রদীপ কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পর্ষদের কো-চেয়ারম্যান তাপস হোড়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি’র উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। বিশেষ আলোচক ছিলেন চবি ইংরেজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য্য, চবি’র প্রফেসর এবিএম আবু নোমান, অধ্যক্ষ রীতা দত্ত, নারীনেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, অধ্যাপক ড. উদিতি দাশ, চেয়ারম্যান বিজয় কুমার বড়ুয়া। শুরুতে পবিত্র ত্রিপিঠক থেকে মঙ্গলাচরণম পাঠ করেন উপদেষ্টা ভদন্ত এস লোকপ্রিয় মহাথের ও প্রফেসর জিনবোধির জীবনী পাঠ করেন চবি প্রফেসর ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা। আরো বক্তব্য রাখেন সংবর্ধনা পর্ষদের সমস্বয়কারী স্থপতি বিজয় তালুকদার, অ্যাড. দীর্ঘতম বড়ুয়া দীগু, অধ্যক্ষ অর্থদর্শী বড়ুয়া, এজিএম বিজয় বড়ুয়া, অ্যাড. সুজন দাশ প্রমুখ। ১ম পর্বে সোমা মুৎসুদ্দীর উপস্থাপনায় ও শ্যামলী বড়ুয়ার পরিচালনায় জাতীয় সংগীত ও উদ্বোধনী সংগীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
৩য় পর্বে কর্ণফুলীর তীরে আনোয়ারায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে নাট্যকার আহমদ কবিরের লেখা চবি প্রফেসর মোস্তফা কামাল যাত্রার নির্দেশনায় ও মিশকাতুল মমতাজ মুমুর সংগীত পরিচালনায় ‘নাট্যধারা’র উদ্যোগে প্রায় ৪৫ জন শিল্পী-কলাকুশলী নিয়ে নাট্য প্রদর্শনী ‘পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়’ মঞ্চস্থ হয়। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেন, নৈতিকতা সমৃদ্ধ হয়ে যাতে সমাজের অনগ্রসর স¤প্রদায় উচ্চ শিক্ষা লাভ করে দেশের জন্য বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হয় সে জন্য একুশে পদক অর্জনের যে অর্থ সরকারিভাবে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন, সম্পূর্ন অর্থ চবি’র অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। চবি প্রো-ভিসি বলেন, ত্যাগী ও অসম্প্রদায়িক ব্যক্তি হিসেবে প্রফেসর ড. জিনবোধি ইতোমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সমাজের সকলের বরণীয় হয়ে উঠেছেন। উদ্বোধক উপ-সংঘরাজ বলেন, গুণীদের সম্মান করলেই সমাজ উন্নত ও আলোকিত হবে। বিজ্ঞপ্তি