গান কথামালায় ওস্তাদ মিহির নন্দী স্মরণ

6

গানের সুরে সুরে আর কথামালায় স্মরণ করা হয়েছে বরেণ্য সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ মিহির কুমার নন্দীকে। তাঁর সপ্তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এই স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে। বৃষ্টিবিঘিœত এই অনুষ্ঠানটির শিরোনাম ছিল ‘তোমার পরশ আসে…’। সংগঠক ও সংগীতগুরু মিহির নন্দীর জীবন ও কর্মের নানা দিক আলোকপাত করেছেন বক্তারা। কথামালায় অংশ নেন অধ্যাপক রীতা দত্ত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক জাহেদ আলী যুবরাজ, সংগঠক অনুপ সাহা, নাট্যজন দুলাল দাশগুপ্ত, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শুভাগত চৌধুরী ও ওডিসি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্টের প্রমা অবন্তী।
বক্তারা বলেন, মিহির নন্দী ছিলেন সত্যিকারের একজন সংস্কৃতির অনুরাগী মানুষ। চট্টগ্রামে বড় পরিসরে পয়লা বৈশাখ আয়োজনে যে কজন ভূমিকা রেখেছেন তাঁর মধ্যে তিনি অন্যতম। তার আগে তিনি দেশকে মুক্ত করতে যুক্ত হয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। ১৯৭৪ সালে মিহির নন্দী যুক্ত ছিলেন রনেশ দাশগুপ্তের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতি সম্মেলনে। তাঁর কর্মই এই সংগীতগুরুকে বাঁচিয়ে রাখবে।
বক্তারা আরও বলেন, মিহির কুমার নন্দীর অগনিত শিষ্য আজ বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়ৈছেন। তিনি আলাউদ্দিন ললিত কলা কেন্দ্র, অগ্রনী সংঘ সংঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্র, আনন্দধনীর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি ছিলেন। তাই বলা যায় সংগীতই ছিল তাঁর ধ্যান জ্ঞান। আমৃত্যু তিনি সুস্থ ও শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা করে গেছেন। কথামালার ফাঁকে ফাঁকে পরিবেশিত হয় তাঁকে নিবেদিত একক ও সম্মেলক গান। সীমার মাঝে অসীম তুমি, জীবন মরণের সীমা ছাড়িয়ে, পথে চলে যেতে যেতে, তুমি আমাদের পিতা ইত্যাদি গানে বরেন্য এই সংগীতগুরুকে স্মরণ করলেন তাঁর ভাব শিষ্যরা।