গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ১০ বগি লাইনচ্যুত

4

পূর্বদেশ ডেস্ক

গাজীপুর জয়দেবপুরে তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে। আপাতত এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে; অন্য লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে। এ ঘটনায় তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হানিফ মিয়া জানান, শুক্রবার বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। দুর্ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় এক স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তরা হলেন- ছোট দেওড়া এলাকায় আবগোমটি ঘরের স্টেশন মাস্টার মো. আবুল হাসেম, পয়েন্টস ম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। খবর বিডিনিউজের
এর আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা-জয়দেবপুর রেল সড়কের গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজী বাড়ি এলাকায় টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের অন্তত ছয়টি বগি ও তেলবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং যাত্রীবাহী প্রেনের চালকসহ অন্তত চারজন আহত হন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
হানিফ মিয়া বলেন, তেলবাহী ও যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ওই ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ডাবল লাইনের ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এখন এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে; বাকি লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে বলে জানান এ স্টেশন মাস্টার। এ দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার মো. দেলোয়ার হোসেন, সহকারী লোকোমাস্টার রিপন চন্দ্র এবং টাঙ্গাইল কমিউনিটারের লোকোমাস্টার হাবিবুর রহমান খান ও সহকারী লোকোমাস্টার সবুজ হাসান। তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি এবং রেলওয়ের দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হযয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মো. সফিকুল ইসলাম।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনায় কারও অবহেলা বা গাফিলতি আছে কী-না তদন্ত করে দেখা হবে।
তদন্ত কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুইটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এর মধ্যে সিওপিএস (চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট) মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের আঞ্চলিক কমিটি করা হয়েছে। আর রেলেওয়ের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন) সৌমিক শাওন কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।