গণবিচ্ছিন্ন জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা করছে

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াত-শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করতে দেশপ্রেমিক শক্তিকে একাট্টা হওয়ার আহবান জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, গণবিচ্ছিন্ন শক্তি হিসেবে জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা শুরু করেছে। বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য তারা এমন হামলা শুরু করে দিয়েছে। আমরা তাদের প্রতিহতই শুধু করবো না, তাদের অস্তিত্ব মুছে ফেলতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।
গতকাল শনিবার সকালে নগরীর দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াত-শিবির চক্রের নাশকতা ও নৈরাজ্যবিরোধী অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
মাহতাব উদ্দিন বলেন, একাত্তরের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদদাতা পশ্চিমা কতিপয় দেশগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বকে মুছে দেওয়ার জন্য যাদেরকে মাঠে নামিয়েছে তারা সাধারণ মানুষের জান-মাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদকে টার্গেট করে অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে। তাদেরকে প্রতিহত ও নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শক্তিকে একাট্টা হতে হবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় এ অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা শফর আলী, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব প্রমুখ।
এদিকে গতকাল সকালে নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে আরও একটি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের একাংশ জামায়াত-শিবিরের খেলার পুতুল। অরাজনৈতিক ইস্যুকে পুঁজি করে নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরকে মাঠে নামিয়েছে। তারা বর্তমান প্রজন্মের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সাথে হাত মিলিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের এই কলঙ্কের দাগ যদি নিজেরাই মুছে ফেলতে না চায়, তাহলে তারা ইতিহাসের পাতায় স্বাধীনতাবিরোধী খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হবে। নতুন প্রজন্ম অবশ্যই একদিন আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।’
সরকার হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের মূলদাবিগুলো পূরণ করার পর তাদের অন্যান্য দাবিগুলোও সরকার মেনে নিয়েছে। আন্দোলন চলাকালে চিহ্নিত দুস্কৃতিকারী ছাড়া গ্রেপ্তার সকলকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘শুধু রাজপথেই নয়, পাড়ায়-মহল্লায়-বস্তিতে সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তির আস্তানাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইকবাল হাসানের সভাপতিত্বে ও মিথুন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, তথ্য ও গবেষণা সম্পদক চন্দন ধর প্রমুখ।