খালেদা জিয়া মুক্ত হলেই মুক্তি হবে গণতন্ত্রের: ডা. শাহাদাত

2

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আওয়ামী সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তার ওপর নির্মম নির্যাতন হয়েছে, তার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার ভয় পায়। এ জন্যই তার ওপর এত জুলুম নির্যাতন নেমে এসেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সাহসের বাতিঘর। বন্দি থাকা অবস্থায় সুচিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আরও তীব্র হয় এবং তার জীবন হুমকির মুখে পড়ে। আইনগতভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন করা হলেও সরকারের হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি। এই ডামি সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক। সরকার জনগণের দাবিকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রেখেছে। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হলেই গণতন্ত্রের মুক্তি হবে।
তিনি সোমবার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার আহবান জানান। তিনি ২৮ জুন বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ১ জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন ও মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেত্রী। তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের মূর্ত প্রতীক। আওয়ামীলীগের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করার কারণেই খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রেখেছে সরকার।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মিথ্যা বানোয়াট মামলায় সরকারের হয়রানির শিকার হয়ে খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি থাকার ফলে বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিম জানিয়েছেন, তার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় যে ধরনের চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন তা দেশে সম্ভব নয়। মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছেন যে, খালেদা জিয়া এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে অ্যাডভান্সড সেন্টার এ নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া জরুরি।
মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সাবেক সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, হাজী হানিফ সওদাগর, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর বিএনপি নেতা জি এম আইয়ুব খান, হাজী নুরুল আকতার, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, দিদারুল আলম, মো. আলী, মো. ইসমাইল, জিয়াউদ্দীন খালেদ চৌধুরী, একেএম পেয়ারু চৌধুরী, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, আজাদ বাঙ্গালি, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, হাসান লিটন, আবদুল আজিজ, ইউছুপ শিকদার, জাকির হোসেন, আলী ইউছুপ, মো. মহসিন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাইফুর রহমান চৌধুরী শপথ, মো. আলমগীর, সাইফুল আলম, মনিরুজ্জামান টিটু, মনিরুজ্জামান মুরাদ, এম এ মুছা বাবলু, এমদাদুল হক বাদশা, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান, কামরুন্নাহার লিজা, হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, কাজী শামসুল আলম, আলী আব্বাস খান, জানে আলম জিকু, এস এম ফরিদুল আলম, মো. হারুন, শরিফুল ইসলাম, মোশারফ জামাল, খাজা আলাউদ্দিন, রাসেল পারভেজ সুজন, সাইফুল আলম, এস এম আবুল কালাম আবু, আবু সাইদ হারুন, আশরাফ খান, সৈয়দ আবুল বশর, হাজী আবু ফয়েজ, হাসান ওসমান চৌধুরী, আলী হায়দার, আনোয়ার হোসেন আরজু, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, শফি মেম্বার, হাজী মো. জাহেদ, শফি উল্লাহ, মনজুর কাদের প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি