কুতুবদিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

7

লিটন কুতুবী, কুতুবদিয়া

পানি চলাচলের খালে মাছ ধরার জন্য ক্রস বাঁধ দিয়ে জাল বসিয়ে মাছ ধরছে একটি পক্ষ। কিন্তু সেই ক্রস বাঁধের খেসারত দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এসব ক্রস বাঁধের কারণে কুতুবদিয়া দ্বীপের অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে প্রতিনিয়তই। এতে রাস্তা, পুকুর, ফসলি জমি এমনকি নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িও ডুবে গিয়ে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন কিলোমিটার পিলট কাটা খালের উপর ১২টি স্থানে ক্রস বাঁধ দিয়েছে স্থানীয় চিহ্নিত প্রভাবশালী চক্রটি। বর্ষা মৌসুমে মুষলধারে বৃষ্টি হলে উপক‚লের দক্ষিণ ধুরুং, লেমশীখালী, কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ ইউনিয়নের পানি পিলট কাটা খাল হয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা একমাত্র ক্রসডেম স্লুইস গেইট।
মলমচর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন জানান, পিলটকাটা খালে বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে ক্রস বাঁধ দিয়ে মাছ ধরছে চিহ্নিত চক্র। এই ক্রস বাঁধের কারণে পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে করে হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পিলট কাটা খালে দক্ষিণ ধুরুং এলাকায় ময়নার মার সাঁকো এলাকায়, লেমশীখালী ইউনিয়নের মতির বাপের পাড়া এলাকায়, লেমশীখালী টু কৈয়ারবিল সংযোগ সেতু এলাকায়, কৈয়ারবিল কলস্যাঘোনা, মুজিবকিল্লা এলাকাসহ ১২টি পয়েন্টে এসব ক্রস বাঁধ তৈরি করে খালের স্বাভাবিক পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
এছাড়াও পিলট কাটা খালের পানি নিষ্কাসনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের মলমচর এলাকায় ৫নং স্লুইচ গেইট স্থাপন করে এবং পানি নিষ্কাসন কাজে ব্যবহার হয়।
জলাবদ্ধতা দেখে শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্লুইচ গেইট এলাকায় কোনো ধরণের জলাবদ্ধতা নেই।
বিন্দাপাড়া এলাকার আবু তালেক জানান, কৈয়ারবিল টু লেমশীখালী ইউনিয়ন সংযোগ সেতুর নীচে স্থানীয় এক শ্রেণির লোক ক্রস বাঁধ দিয়ে জাল বসিয়ে মাছ ধরে যাচ্ছে, এতে বৃষ্টির পানি চলাচলে বন্ধকতা সৃষ্টি করে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এমনকি খালে জাল বসানো এলাকায় বিদ্যুৎ লাইট-আলোকসজ্জাও করেছে চক্রটি। একটু বাতাস হলেই বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়। এসময় ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনাও। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনগণ স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।