কালো টাকায় কেনা জমি-ফ্ল্যাট বিনাপ্রশ্নে বৈধ করার সুযোগ

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

অপ্রদর্শিত আয়ে কেনা জমি-ফ্ল্যাট নির্ধারিত হারে কর পরিশোধ সাপেক্ষে বৈধ করার সুযোগ আবারও দিচ্ছে সরকার। নতুন অর্থবছরের পুরোটা সময়জুড়ে এ সুযোগ নিতে পারবেন ‘কালো টাকার’ মালিকেরা। ২০২১-২২ অর্থবছরেও এমন সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন অর্থবছরে অপ্রদর্শিত আয়ের মালিকেরা ‘কালো টাকা’ বিনিয়োগ করে ফ্ল্যাট-প্লট, জমি কেনার সুযোগ পেয়েছেন।
২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিমাণে কর পরিশোধ করে তাদের অপ্রদর্শিত সম্পদ ট্যাক্স রিটার্নে সংযুক্ত করেন, তাহলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
কোন এলাকায় কত কর দিয়ে অপ্রদর্শিত ফ্ল্যাট-জমি বৈধ করা যাবে, তাও বলে দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
ঢাকা মহানগরের গুলশান, বনানী, মতিঝিল, তেজগাঁও, ধানমন্ডি, ওয়ারী, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন, কাফরুল, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার অন্তর্গত সব মৌজায় ফ্ল্যাট বা স্থাপনার ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসের জন্য ৬ হাজার টাকা এবং প্রতি বর্গমিটার জমির জন্য ১৫ হাজার টাকা ভ‚মিকর পরিশোধ সাপেক্ষে অপ্রদর্শিত সম্পদ আয়কর ফাইলে দেখানো যাবে।
ঢাকার বংশাল, মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা মডেল, ক্যান্টনমেন্ট, চকবাজার, কোতোয়ালি, লালবাগ, খিলগাঁও, শ্যামপুর, শাহজাহানপুর, মিরপুর মডেল, দারুস সালাম, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীর চর, হাজারীবাগ, ডেমরা, আদাবর, গেন্ডারিয়া, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাষানটেক, বাড্ডা, পল্লবী ও ভাটারা থানা এলাকা এবং চট্টগ্রাম জেলার খুলশী, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালী থানা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানা, সোনারগাঁও, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর থানা এবং গাজীপুর জেলার সদর থানার অন্তর্গত সব মৌজায় স্থাপনা ও ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসের জন্য সাড়ে ৩ হাজার এবং জমির ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারের জন্য ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে অপ্রদর্শিত সম্পদ বৈধ করা যাবে।
ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ, সাভার ও ধামরাই উপজেলা; চট্টগ্রাম জেলার আকবর শাহ, ইপিজেড থানা, কর্ণফুলী, চকবাজার, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, বন্দর, বাকলিয়া, বায়েজিদ বোস্তামি ও সদরঘাট থানা এবং গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর, কালীগঞ্জ, বাসন, কোনাবাড়ী, গাছা, টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলার অন্তর্গত সব মৌজায় স্থাপনার ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসের জন্য এই করের হার দেড় হাজার টাকা এবং প্রতি বর্গমিটার জমির জন্য ৩ হাজার টাকা।
এর বাইরে ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও অন্য কোনো উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা সদরের সব পৌরসভার অন্তর্গত সব মৌজায় প্রতি বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসের জন্য ১ হাজার এবং প্রতি বর্গমিটার জমির জন্য ২ হাজার টাকা কর পরিশোধ করে সম্পদ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এসব এলাকার বাইরে যে কোনো পৌরসভার অন্তর্গত এলাকায় প্রতি বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসের জন্য ৮৫০ টাকা ও প্রতি বর্গমিটার জমির জন্য ১ হাজার টাকা কর দিয়ে বৈধ করা যাবে। এসব পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের বাইরে অন্যান্য সব এলাকায় প্রতি বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসের জন্য ৫০০ ও জমির জন্য ৩০০ টাকা হারে কর দিয়ে সম্পদ সাদা করতে পারবেন মালিকেরা।