‘কারবালার প্রকৃত শিক্ষা হলো হকের পথে অবিচল থাকা’

5

‘হিজরী ৬১ সনের ১০ মহররম ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে রাসূলুল্লাহর (দ.) প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবার শাহাদাত বরণ করেন। কারবালার এ শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনা আজও প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ে শোকের মাতম তোলে। ঘৃণ্য-পাপী এজিদের জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সত্য-ন্যায় প্রতিষ্ঠায় এ মহান আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্যে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে’।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর বায়েজিদের গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে পবিত্র শোহাদায়ে কারবালা (রা.) স্মরণে ৭২তম আশুরা মাহফিলে মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শোহাদায়ে কারবালার প্রকৃত শিক্ষা হলো হকের পথে অটল-অবিচল থাকা, ইমানের প্রশ্নে জালেমের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সত্যের জন্যে লড়াই করা, রাসূলের (দ.) সুন্নাতের পুনর্জীবন ও ধরার বুকে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা। যুগে যুগে সত্য-ন্যায়ের প্রতীক হয়ে থাকবেন কারবালার শোহাদায়ে কেরাম (রা.)। প্রিয় রাসূল (দ.) ও আহলে বায়তের মুহাব্বত একজন মুমিনের ঈমানী মূলধন’।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং সংগঠনের মহাসচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আল্লামা মুহাম্মদ শফিউল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বোগদাদী, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
মাহফিল উপলক্ষে ১৭২৮টি খতমে কোরআন, ১৫০টি তাহলিল, ৬৯টি খতমে ইউনূচ ও ৪৪টি দরূদে সাইফুল্লাহ আদায় হয়। মিলাদ-কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও দরবারের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজমের ফুয়ুজাত কামনা করে মুনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি