কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ চসিকের বিশেষায়িত শাখা

9

ওয়াসিম আহমেদ

হাজার হাজার কোটি টাকার জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবুও বর্ষা আসলে ডুবছে নগরী। ‘ভয়ানক দুর্ভোগ’ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। ফলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অধীনে নিয়মিত ড্রেনেজ সিস্টেমের ব্যবস্থাপনায় আলাদা একটি বিশেষায়িত শাখা খোলা হয়। প্রায় এক বছর আগে এমন উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যক্রম শুরু হয়নি। বরাবরের মত কাগজে-কলমেই সামীবদ্ধ থেকেছে নগরীর সেবা সংস্থার উদ্যোগটি।
এ নিয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমরা পারিনি। এখন আর ফাঁকিবাজি চলবে না। অফিস আদেশ হলে সে অনুযায়ী সবাইকে কাজ করতে হবে। পছন্দ হলে কাজ করবে, না হলে হবে না। এসব চলবে না।’
নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে চসিকের অধীনে ১ হাজার ১৩৭ কিলোমিটার খাল-নালা রয়েছে। এর সাথে যোগ হচ্ছে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বারইপাড়া খাল। ২০২৫ সালের মধ্যে নগরীর একমাত্র খাল খনেন প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প শেষ হলে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব চসিকের উপর বর্তাবে। অর্থাৎ বিদ্যমান পরিচ্ছন্নতা বিভাগের অধীনে খাল-নালা পরিষ্কার দিয়ে এতো বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদন সম্ভব নয়। তাই ঢাকার আদলে খাল-নালা ব্যবস্থাপনার বিশেষায়িত শাখাটি শুরু করা হয়। উদ্যোগটি বেশ আশাব্যঞ্জক হলেও বাস্তবায়নের মুখ দেখাতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী।
চসিক সূত্র জানিয়েছে, খাল পরিষ্কারের পরও বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি নেই। তাই, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা এক নেটওয়ার্কে আনতে বিশেষায়িত শাখা করে চসিক। নতুন অর্গানোগ্রামে শাখাটি অর্ন্তভুক্তি করতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চসিকের প্রকৌশল বিভাগের অধীনে ‘দুর্যোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা সার্কেল’, নামে শাখাটিতে তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফরহাদুল আলমকে প্রধান করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
সিডিএ’র মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি নগরীর একমাত্র এবং সবচেয়ে বড় কৃত্রিম খাল খনন করছে সিটি করপোরেশন। প্রায় ১৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালটি খনন শেষ হলে পূর্ব-পশ্চিম ও দক্ষিণ শুলকবহর, চান্দগাঁও, নাসিরাবাদ, মোহরা, পূর্ব ও পশ্চিম ষোলশহর, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ও চাক্তাই সংলগ্ন এলাকার মোট আটটি ওয়ার্ডের ১০ লাখ বাসিন্দা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে বলে কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা। প্রকল্পটির সাথে জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রকল্পটির পরিচালক সিটি করপোরেশনের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফরহাদুল আলমকে ‘ড্রেনেজ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের প্রধান করা হয়।