কম বয়সে বিয়ের উপকারিতা

10

বিয়ে করার সঠিক সময় নিয়ে বিতর্ক থাকলেও একটু বেশি বয়সে বিয়ে করা ভালো। কেননা বিয়ের সঙ্গে অর্থনীতির বিষয় জড়িত। কারো কারো মতে আবার পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরই বিয়ে করা ভালো। তবে যে যাই মনে করুক না কেন, দ্রুত বিয়ে করাই বুদ্ধিমানের মতো কাজ। যৌবনে পা রাখার পর বিয়ে করার ফলে জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। এতে করে ছোটখাটো বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আগের থেকে দায়িত্বশীল হয়ে উঠা যায়। এবার তাহলে কম বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
অল্প বয়সে বিয়ে করার ফলে দ্রুত সন্তান নেয়ার চাপ আসবে না। সন্তান জন্মের পর তাদের পড়াশোনা নিয়ে প্রথম থেকেই ভাবতে হবে না। স্বামী-স্ত্রী দু’জন প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

বেশি অভিজ্ঞতা লাভ হয় : ৩০ বছরের আগে বিয়ে করলে অনেকটা বেশি সময় দু’জনে একসঙ্গে কাটানো যেতে পারে। বিভিন্ন জিনিস এক্সপ্লোর করা যেতে পারে একসঙ্গে। নিজেদের সময় দেওয়াও যেতে পারে সমানভাবে।
কেরিয়ারে প্রভাব পড়ে : অনেকেই দায়িত্ব নিতে ভয় পান বা পারেনও না। সে ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে পরিবারের, সঙ্গীর বিভিন্ন দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি কেরিয়ারেও দায়িত্ব নিতেও অভ্যস্ত হওয়া যায়। ফলে কেরিয়ারে তার ভালো প্রভাব পড়ে।

পরিবারের সঙ্গে ভালভাবে থাকা : বয়স অল্প থাকলে সব কিছুই শেখার ইচ্ছে থাকে। নতুন পরিবার, তাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সবটাই শেখা যায়। ফলে পরিবারের সঙ্গে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো যায়।
কথায় আছে ‘একজনের থেকে দু’জন’ ভালো। বিষয়টি সবারই বুঝতে পারার কথা।
সব সুখ-দুঃখ একা ভোগ করার থেকে দু’জন একসঙ্গে ভোগ করার ফলে আনন্দ আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও মন খারাপের কথাগুলো কাছের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করার ফলে মনও হালকা হয় অনেক। ফলে মানসিক চাপটাও অনেক কম থাকে। বেশি বয়সে বিয়ে করলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। কোনও কোনও নারী বা পুরুষ সন্তান জন্মদানে জটিলতায় পড়েন। গর্ভধারণে সমস্যা হয়। আবার সন্তান জন্মদানের পর তাকে লালন-পালনে যথেষ্ট সময়ও পাওয়া যায় না।