কমার্স কলেজে অনুজদের ব্যাচ ৮৩’র বৃত্তি উপহার

4

চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ এইচএসসি ব্যাচ ৮৩’র উদ্যোগে ১১ মে কলেজের ৫৩ জন অস্বচ্ছল ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছে। ছাত্র ছাত্রীদের দুই বছরের বেতন ও পরীক্ষা ফি এবং কাগজ কলম ক্রয় বাবদ বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রতিটি শিক্ষার্থীকে এককালীন নগদ অর্থের মাধ্যমে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তিদাতারা সরকারি কমার্স কলেজ এইচএসসি ব্যাচ ৮৩ শিক্ষাবৃত্তিকে প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুজদের প্রতি অগ্রজদের ভালোবাসার উপহার বলে আখ্যায়িত করেছেন।
দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকারি কমার্স কলেজ এইচএসসি ব্যাচ ৮৩ একটি স্মারক গ্রন্থও প্রকাশ করেছে। এই বৃত্তি পেতে আগ্রহী কলেজের বর্তমান সময়ের এইচএসসি থেকে পাস কের্স, অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৫৩ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করেন। ইতিপূর্বে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরযুক্ত বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা কলেজের নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছিলো।
সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষকমন্ডলী, অতিথি, সাংবাদিক প্রতিনিধি, বৃত্তিদাতা ব্যাচ ৮৩’র সদস্য ও কলেজ ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৫৩ জন শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুসেন কুমার বড়ুয়া। ব্যাচ ৮৩’র সদস্য সাইদুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক বিভাগীয় প্রধান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হিসাব বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি, কমার্স কলেজের সাবেক ছাত্র প্রফেসর ড. সুলতান আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক ও কামরুল হাসান এফসিএ।
বক্তব্য দেন সরকারি কমার্স কলেজ ব্যাচ ৮৩’র সদস্য সরকারি কমার্স কলেজ একাউন্টিং বিভাগের সদ্য সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আবু মোহম্মদ রহিম উল্লাহ, মো. কামাল উদ্দীন, প্রফেসর হাসান ইকবাল, নুরুল আনোয়ার, সাইদুর রহমান, মিল্টন ঘোষ, স্বপন দাশ গুপ্ত, ৯৪ ব্যাচের জিয়াউদ্দিন আসিফ সহ অতিথিবৃন্দ। এছাড়াও বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা ব্যাচ ৮৩’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সরকারি কমার্স কলেজ এইচএসসি ব্যাচ ৮৩’ সদস্যদের শিক্ষাবৃত্তিকে দায়িত্বপূর্ণ ও অনুকরণীয় সামাজিক কাজ হিসাবে চিহ্নিত করে ব্যাচ ৮৩ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্রছাত্রীদের নিজ নিজ অনুজদের জন্য এই ধরনের শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রমে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বলেন প্রয়োজনীয় শিক্ষা অর্জন করে সমাজে যে দিন তোমরা প্রতিষ্ঠিত হবে সেইদিন তোমাদেরকেও আজকের অগ্রজদের দেওয়া উপহার প্রাপ্তির কথা স্মরণে রেখে সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, স্মার্ট দেশ গঠনে ছাত্র ছাত্রীদেরও জ্ঞানের দিক থেকে আধুনিক ও স্মার্ট হতে হবে। এজন্য প্রচলিত পাঠ্য শিক্ষার পাশাপাশি জ্ঞান অর্জনের জন্য নিয়মিত পত্রিকা পড়তে হবে। তিনি বড় বড় লেখকদের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক রচিত বই ও মনিষীদের জীবনীগ্রন্থ পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি কামরুল হাসান এফসিএ বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো রেজাল্ট ও ভালো কিছু করতে হলে নিজের ভিতর জেদ থাকতে হবে। অধ্যবসায়ের বিকল্প কিছু নেই।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর সুসেন কুমার বড়ুয়া বৃত্তি দাতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে কলেজের অন্যান্য সাবেক ব্যাচগুলোকেও দারিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে আহবান জানান। অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ বৃত্তিপ্রাপ্ত ৫৩ জন শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের হাতে বৃত্তির এককালীন নগদ অর্থ ও এ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরক গ্রন্থ তুলে দেন। বিজ্ঞপ্তি