কট্টর ডানপন্থিদের ঐতিহাসিক জয়

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচক মারিন লু পেনের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) জয়ী হয়ে ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে।
তবে নির্বাচনের দুই পর্ব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত আরএন জয় পাবে কি না, তা আগামী সপ্তাহের রান-অফ ভোটের আগের দিনগুলোতে হতে যাওয়া রাজনৈতিক সমঝোতার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে, রোববারের ভোটে আরএন ও এর মিত্ররা ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে, ২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তাদের পরেই আছে বামপন্থিদের জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) আর প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর মধ্যপন্থি টুগেদার অ্যালায়েন্স পেয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ ভোট।
এ ফলাফল প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর জন্য একটি বড় ধরনের বিপর্যয়। চলতি মাসের প্রথমদিকে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার মনোনীত প্রার্থীরা আরএনের প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হওয়ার পর আগাম এ নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন মাক্রোঁ। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে ২০২৭ সালের আগে ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না আর এ নিয়ে মিত্ররা মাক্রোঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছে।
এ ফলাফল লু পেনের আরএনের সমর্থকদের মাঝে আনন্দের গ্রোত বইয়ে দিয়েছে, তারা নেচে গেয়ে উল্লাস করছেন।
তবে আগামী রোববারের রান-অফ ভোটের পর কট্টর ডানপন্থি আরএন ইউরোপন্থি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে সহাবস্থান করে সরকার গঠনে সক্ষম হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
প্রথম পর্বের ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে শীর্ষে থাকা দুই প্রতিদ্বন্দ্বি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্বিতীয় পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা অর্জন করবেন। তাদের পাশাপাশি যে প্রার্থীদের পক্ষে সাড়ে ১২ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে তারাও দ্বিতীয় পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই পর্বে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থীই জয়ী হবেন।