এবার চট্টগ্রামের নেতারা স্থান পেতে পারেন

24

এম এ হোসাইন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রতিবার বিভাগীয় পর্যায়ের নেতাদের স্থান দেওয়া হয়। তবে গতবার (২০১৯ সালে) কোনো বিভাগীয় নেতাকে স্থান দেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় কমিটিতে। যার কারণে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলার কোনো নেতার ঠাঁই হয়নি কেন্দ্রে। তবে পুনর্গঠন হওয়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলে এবার চট্টগ্রামের নেতারা ঠাঁই পেতে পারেন। একাধিক নেতা পেতে পারেন বিভাগীয় দায়িত্ব। তবে কয়জন নেতার স্থান হবে সেটা এখনো পরিষ্কার নয়।
বিএনপির ‘ভ্যানগার্ড’ খ্যাত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। প্রতিবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল সর্বশেষ খোকন-শ্যামলের কমিটিতে। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের ৬০ সদস্যের আংশিক কমিটিতে চট্টগ্রামের কোনো নেতা স্থান পায়নি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করার সুবাদে বান্দরবানের সন্তান আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া পেয়েছেন সহ-সাধারণ সম্পাদকের পদ, রাঙামাটি জেলা সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বিরকে করা হয়েছিল চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
কথা হলে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিভাগের দায়িত্বে চট্টগ্রামের কাউকে স্থান না দেওয়া অবমূল্যায়ন করা। এখন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নতুন কমিটি এসেছে। ত্যাগী ছাত্রনেতাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করবে। সংগঠন ঠিক রাখতে নেতৃত্বের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
একই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদলে বিভাগীয় দায়িত্বটা এতো গুরুত্বপূর্ণ না। তারপরও আমরা বিভাগের দায়িত্ব দেয়ার ব্যাপারে কাজ করছি। বক্তব্য দেয়ার মতো সময় এখনো আসেনি। নির্বাচনের পর জোরালো কোনো কর্মসূচি না দিলেও সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান বিএনপি নেতারা।আপাতত রুটিন কর্মসূচির পাশাপাশি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে দল গোছানোর কাজ এগিয়ে নিতে চান তারা। এরমধ্যে সরকারবিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি দল গোছানোর কাজও এগিয়ে নিতে চায় ছাত্রদল। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যারা রাজপথে কিংবা নেপথ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তারা এখন নিজেদের মূল্যায়ন আশা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের স্থান করে দিবে ছাত্রদল।
গত ১ মার্চ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রফিকুল ইসলাম রাকিবকে সভাপতি এবং নাসির উদ্দীন নাসিরকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের আংশিক কমিটি অনুমোদনের তথ্য জানানো হয়। ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকে বিভাগীয় দায়িত্ব পেতে লবিং শুরু করেছেন চট্টগ্রামের নেতারা। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে নেতৃত্ব নেয়ার সিদ্ধান্তও আছে কেন্দ্রের। মূলত বিভাগীয় দায়িত্বের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতিকে কেন্দ্রীয় সহসভাপতির পদ দেয়া হয়। তাছাড়া একাধিক পদে রাখা হয় গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র নেতাদের। সে হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহব্বায়ক সাইফুল আলম কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হতে পারেন। একই সাথে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাধিক নেতার স্থান হতে পারে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এ নিয়ে জোরালো লবিং আছে বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরও।