এখনও বিদ্যুৎহীন ফটিকছড়ির অনেক এলাকা

3

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘ‚র্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ফটিকছড়িতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে বহু কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে পড়েছে। গাছ পড়ে বিদুৎ লাইন ছিড়ে গেছে। গত সোমবার সকালে বিদ্যুৎ চলে গেলেও এখনো উপজেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সচল হয়নি। ফলে উপজেলার বহু এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে টানা ভারী বৃষ্টি হয়। ধমকা হাওয়া বিকট শব্দে বজ্রপাত হয়। এতে গাছপালা ভেঙে সড়কের উপর পড়ায় বহু সড়কে যােগাযােগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভেঙে যাওয়া গাছ অন্যত্র সরানো হলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়। গত সোমবার গহিরা-হেঁয়াকো সড়কের ফটিকছড়ি উপজেলা কমপ্লেক্স এর সামনে গাছ পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এর তত্ত্বাবধানে ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর একটি টিম দ্রুত ভেঙ্গে যাওয়া গাছ অপসারণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এছাড়া অনেক এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এদিকে ধমকা হাওয়ায় গাছ পড়ে ফটিকছড়ি উপজেলাধীন নাজিরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের খাছ মো. তালুকদার বাড়ির পাশে বিদ্যুৎ লাইন ছেড়ে যায় । গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর নাজিরহাট সাব জোনাল অফিসে অভিযোগ দিলেও এ নিয়ে তারা বিদ্যুৎ লাইন সচল করতে যায়নি বলে জানান ওই এলাকার আব্দুল মান্নান ও আব্দুল হালিম। এছাড়া নাজিরহাট এলাকায় মো. মাসুদ ও বাবুনগর নগর এলাকার মিটু বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে অভিযোগ দিলেও তারা এখনো এলাকায় ঠিক করতে যায়নি।
একাদিক সূত্র জানায়, স্পীট মানি দিলে নাকি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন দ্রুত লাইন ঠিক করে বিদ্যুৎ সচল করে। সম্প্রতি কাল বৈশাখীর তান্ডব চালায় ফটিকছড়িতে। তখন নাজিরহাট পৌরসভার সাংবাদিক সজল চক্রবতী তার ফেইসবুক লেখেন, ‘অবশেষে স্পীট মানি দিয়েই বিদ্যুৎ সংযোগ পেলাম ৬দিন পর।’
এদিকে বক্তব্য জানতে ফটিকছড়ির নাজিরহাট সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের দমকা-হাওয়ায় গ্রামীণ এলাকার গাছপালা ভেঙে অনেক সড়ক চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা ভেঙে পড়া গাছ সরালে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধমকা হাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে গেছে। বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে । উপজেলায় ৪৮ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। অনেক জায়গায় ঘরবাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। বিভিন্ন সড়ক-উপসড়ক ও ঘরবাড়ির ওপর গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
এদিকে গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফটিকছড়ি উপজেলা ও নাজিরহাট পৌরসভার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ফলে ওইসব এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে রয়েছে।