এক কোটি গরিব মানুষকে ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি

2

আমি পদ্মা সেতু বানচালে ওয়ার্ল্ডব্যাংকের টাকা বন্ধ করে দিয়েছি। আমাকে পদ্মা নদীতে চুবানো দরকার, বহুবার বলা হয়েছে। বড় বড় অনুষ্ঠানে এ কথা বলা হয়েছে। আপনারা সেটা কিন্তু গ্রহণ করেন নাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে অর্থ আত্মসাতের মামলায় হাজিরা দিতে এসে সাংবাদিকদের এসব বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, এখানে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে উপস্থিত হয়েছি। দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে দুর্নীতির। আমি জালিয়াতি করেছি, অর্থ আত্মসাৎ করেছি, অর্থপাচার করেছি। এরকম বহু ভয়াবহ শব্দ আমার অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে। আপনারা আমাকে বহুদিন থেকে চিনছেন। এ অপরাধগুলো আমার গায়ে লাগানোর মতো অপরাধ কিনা আপনারা বিবেচনা করবেন। আগে যেরকম আপনারা বিবেচনা করেছেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
তিনি আরও বলেন, আমাকে বলা হয়েছে আমি সুদখোর। বহুবার বলা হয়েছে। আপনারা এটা গ্রহণ করেন নাই। কারণ গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক আমি না। সুদ যদি গ্রহণ করে থাকে মালিকরাই গ্রহণ করেছে। আমাকে যখন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়া হয় তখন ৯৭ শতাংশের মালিক ছিলেন তারা। সুদ যদি গ্রহণ করে থাকেন তারাই করেছেন। আমি একজন কর্মচারী মাত্র। সেটা আপনারা জানতেন। আমি কখনও গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক ছিলাম না। কাজেই আপনারা সেটা গ্রহণ করেননি। আমাকে বলা হয়েছে, আমি গরীবের রক্তচোষা। সেটাও আপনারা গ্রহণ করেননি। রক্ত চুষতে হলে যে কাজটা করতে হয়, সেটা আমি করিনি, আপনারা দেখেছেন। আমি এক কোটি গরিব মানুষকে একটা ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি। রক্ত চুষবো কেমন করে, তাদের মালিকানা দিয়েছি, আর কেউ তো দেয়নি। এটা তো সত্য ঘটনা। এখনও আছেন তারা।
নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, আজ যে অভিযোগ এনেছে, সেগুলো একই নিয়মের, একই কাহিনির অন্তর্ভুক্ত। কাজেই আপনাদের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিলাম। আজ যে অভিযোগ জোচ্চুরি, অর্থ আত্মসাৎ, অর্থপাচার এগুলো সত্য কিনা আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম।