নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাখি গলিতে আলোচিত মো. সাহেদ হোসেন মনা হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে মো. সাগর (২৮) নামে এক আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। একইসঙ্গে অপর তিন আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত শুক্রবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড ও রিমান্ড শুনানি হয়।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন মো. জুয়েল (৩৪), মো. বশির (২৬) ও মো. জুয়েল প্রকাশ ছোট জুয়েল (২৫)। গত ১১ জুলাই হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার চৈঠপুর এলাকা থেকে মনা হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে কোতোয়ালী থানা পুলিশ সাগরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী বলেন, রিয়াজউদ্দিন বাজারে মো. সাহেদ হোসেন মনা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে মো. সাগর নামে এক আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। একইসঙ্গে অপর তিন আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ দ্বিতীয় দফায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তিনি আসামি মো. জুয়েল, মো. বশির ও মো. জুয়েল প্রকাশ ছোট জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আর মো. সাগর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব আসামি মো. সাগরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই রাতে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাখি গলি এলাকায় হত্যা করা হয় সাহেদ হোসেন মনাকে। তার বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার প্রধান আসামি করা হয় ‘জুয়েল বাহিনী’র প্রধান জুয়েলকে। এছাড়া অন্য আসামিরা হলেন রহিম (২৬), জুয়েল প্রকাশ মুরগি জুয়েল (৩২), মো. সজীব (২৪), শেখ ফরহাদ (২২), মো. শুক্কুর (৩৫), হানিফ প্রকাশ মাছ হানিফ (৩৫), সবুজ (৩২), সাগর (২৮), বশির প্রকাশ টিউমার বশির (৩০), ইকবাল (৩১) ও শাকিল (২০)। হত্যাকান্ডের পরদিন গত ৮ জুলাই মো. সজীব ও মো. শেখ ফরহাদ নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছিল পুলিশ। অপরাপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
