একাই সামলাচ্ছেন চার পদের দায়িত্ব

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা একাই সামলাচ্ছেন প্রশাসনের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। নিয়মিত পদের বাইরে এতদিন তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে আরও দুইটি পদে থাকলেও নতুন করে জেলা পরিষদের প্রশাসক নিযুক্ত হওয়ায় চারটি পদ সামলাতে হবে প্রশাসনের চৌকস এই কর্মকর্তাকে। প্রশাসনে একজন স্পষ্টবাদী কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনের ২১তম ব্যাচের এই কর্মকর্তার সুনাম আছে। যে কারণে নিজের উপর অর্পিত যে কোন দায়িত্ব সততা ও নিষ্টার সাথে পালন করেন বলে জানান এই কর্মকর্তার সহকর্মীরা।চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের দুইজন কর্মচারী বলেন, প্রশাসনে নিজের কাজ নিজে সুচারুরূপে করেন তিনি। কোন ফাইল জমা রাখেন না। কাজে ডুবে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পছন্দ করেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) পদে মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা যোগদান করেন ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর। এ পদে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) ও স্থানীয় সরকারের পরিচালক পদেও এই কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা ও ৯৯টি উপজেলার কার্যক্রম সুন্দরভাবে সামাল দিচ্ছেন তিনি। দেশের আটটি প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে বৃহত্তম বিভাগ চট্টগ্রামের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা এই কর্মকর্তা গত ১৯ আগস্ট থেকে জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পান। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদের ওয়েবসাইটেও এই কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ডাটা শীট তুলে ধরা হয়েছে। ফটিকছড়ির উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় নিজ জেলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলেই আশা করছেন চট্টগ্রামবাসী।
এদিকে গতকাল দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কার্যালয়ে যান নবনিযুক্ত প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। এসময় তিনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তবে আজকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, ‘কালকে (আজ) জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অফিসিয়ালি মিটিং করবো। এই মিটিংয়েই তাদের কাছ থেকে সব বিষয়াদি জেনে নির্দেশনা পরামর্শ দিব।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. শাব্বির ইকবাল বলেন, স্যার দুপুরের দিকে এসে প্রায় তিনঘণ্টা অফিস করেছেন। এসময় জেলা পরিষদে কোন কোন কাজ চলমান আছে, কোনগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ এসব বিষয়ে জেনেছেন। উনি প্রতিদিনই অফিস করবেন।’