এইচএসসির হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্রের প্রশ্নে ৪ নম্বর উধাও!

3

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান এইচএসসিতে পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষায় দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ করার পর এবার নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নে কম ছিল ৪ নম্বর, অর্থাৎ ১০০ মার্কের জায়গায় ৯৬ মার্কের প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রের ৮ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্নের তৃতীয় অংশটি অর্থাৎ প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা মূলক ‘গ’ প্রশ্নটি প্রশ্নপত্রে ছিল না। ওই প্রশ্নের পূর্ণমান ছিল ৪।
তবে শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, প্রশ্নপত্রের ভুলে পরীক্ষার্থীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। রবিবার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রে পরীক্ষা দিয়ে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর দেখি ৮ নম্বরের গ অংশ প্রশ্নে নাই। এতে আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি। পরে হলের স্যারকে জানালে তিনি কোনো সমস্যা হবে না বলে বাকি দুটি লিখতে বলেন। এখনও বুঝতে পারছি না কী হবে। এখানে তো আমাদের ভুল নেই।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রশ্নপত্রের ভুলের বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডকে জানানো হবে। শিক্ষার্থীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তাদের দাবি, প্রশ্নপত্র প্রণয়নের পর মডারেটররা সেটি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করেন। মডারেটরের দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের ভুলে এমন ঘটনা ঘটেছে। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বোর্ডে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে অন্য কোনো শিক্ষা বোর্ড। যদিও এবারের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কোন বোর্ড করেছে তা জানা যায়নি। প্রশ্নকারী প্রশ্ন জমা দেওয়ার পর অন্তত চারজনের বোর্ডে সেটি মডারেশন হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান জানান, যদি প্রশ্নপত্রে কোনো কিছু মিসিং থাকে তাহলে এর জন্য পরীক্ষার্থীরা দায়ী নয়। তাই নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে পরীক্ষার্থীরা ওই প্রশ্নের পূর্ণমান নম্বর পাবে। এ ব্যাপারে আগে থেকেই পরীক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া থাকে, তাই প্রশ্নপত্রের ভুলে পরীক্ষার্থীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের অংশবিশেষ মিসিং ছিল। আমরা জেনেছি। যেহেতু এই প্রশ্ন আমরা তৈরি করিনি, অন্য বোর্ড করেছে। সেটা আবার বিজি প্রেস ছেপেছে। সেটা নিয়ে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড নিশ্চয়ই একটা পর্যালোচনা করবে। আমরা আন্তঃশিক্ষা বোর্ডকে এ বিষয় সম্পর্কে জানাবো।
প্রসঙ্গত, এর আগে গেল ১১ জুলাই সকালে সীতাকুন্ডের বিজয় স্মরণী কলেজ কেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি পরীক্ষা পর্যবেক্ষকদের জানালে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র এনে দুপুর ১২টা থেকে পুনরায় পরীক্ষা শুরু করা হয়।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ শিবশংকর শীল ও পরীক্ষা কমিটির আহব্বায়ক সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নোমানকে পরবর্তী পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।