উখিয়ায় পুড়ে গেছে দুই শতাধিক স্থাপনা

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা শিবিরে ফের অগ্নিকান্ড ঘটেছে। এতে এনজিও কার্যালয়, দোকান ও ঘরসহ প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে। প্রায় একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
গতকাল শুক্রবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের ইনচার্জ অতীশ চাকমা জানান, বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রামু, উখিয়া, টেকনাফসহ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কারিতাস নামে একটি এনজিও, দোকান ও রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরসহ প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে। আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দৌজা নয়ন।
তিনি জানান, উখিয়ার ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁঠাল গাছতলাস্থ বাজারে হঠাৎ আগুনে লাগে। এরপর মুহূর্তেই তা বাজারের অন্য দোকানপাটসহ আশেপাশে ক্যাম্পের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তাৎক্ষণিক উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হলে প্রথমে তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে স্টেশনটির আরও একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। খবর বাংলানিউজের
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে কক্সবাজার, টেকনাফ ও রামু ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিট পৌঁছার আগেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে অর্ধশতাধিক বসতঘর ও বেশ কিছু দোকানপাটসহ দুই শতাধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ থেকে ৩০টির বেশি বসতঘর ও অন্যান্য স্থাপনা। তবে এখনো আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি তথ্য দিয়ে সামছু-দৌজা নয়ন বলেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। পাশাপাশি আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণেও সংশ্লিষ্টরা কাজ অব্যাহত রেখেছে।