ইসলাম ও মানবকল্যাণে হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর অনন্য অবদান

4

সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আযহারী

ইসলামের তৃতীয় খলিফা, বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্তদের অন্যতম, মক্কায় সর্বপ্রথম দিকে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে চতুর্থ, লজ্জাশীলতা, বিনয়-নম্রতা, প্রজ্ঞা, বিশ্বস্ততা, বদান্যতা, ত্যাগ, আত্মদান, আভিজাত্য ও আমানতদারিতায় উপমাযোগ্য হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর জন্ম ৫৭৩ মতান্তরে ৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর পিতার নাম আফফান এবং মাতার নাম আরওয়া বিনতে কুরাইশ। বংশপরম্পরায় তিনি তাঁর পঞ্চম পুরুষ আব্দে মানাফ এ গিয়ে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র বংশধারায় মিলিত হয়েছেন।
তিনি জাহেলী যুগে জন্মগ্রহণ করলেও জাহেলিয়াতের অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও বীভৎসতা তাঁর সুন্দর ও অনুপম চরিত্রকে কোনভাবেই কলুষিত ও কালিমাযুক্ত করতে পারেনি। তিনি ইসলামের পূর্বে ও পরে কখনও মদ্যপান করেননি এবং মূর্তির সামনে মাথা অবনত করেননি। জাহিলি যুগের রীতিঅনুসারে যেভাবে মৃত ও মূর্তির নামে যবেহকৃত পশুর গোশত ভক্ষণ করা হতো তিনি তাও কখনও করেননি।
সমকালীন আরবে যে কয়জন ব্যক্তি লিখতে ও পড়তে জানতেন তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম এবং পাশাপাশি তিনি কুরাইশদের প্রাচীন ইতিহাস ও বংশীয় ধারা সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।
‘যুন-নূরাইন’: তিনি যুন নুরাইন হিসাবে সর্বাধিক পরিচিত। কারণ, তিনি প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুই প্রিয় শাহযাদী তথা হযরত রুকাইয়া ও হযরত উম্মে কুলসুম রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুমাকে শাদী মোবারক করেছিলেন। হযরত ওসমান ইসলাম গ্রহণের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ কন্যা ‘রুকাইয়্যা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহাকে তাঁর সাথে শাদী দেন। হিজরী দ্বিতীয় সনে মদীনা তাইয়্যেবায় হযরত রুকাইয়্যা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহার ইনতিকাল হলে রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দ্বিতীয় কন্যা সৈয়্যদা উম্মু কুলসুম রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহাকে তাঁর সাথে শাদী দেন। এ কারণে তিনি ‘যুন-নূরাইন’- (দুই নূরের অধিকারী) উপাধি লাভ করেন।
‘সাহেবুল হিজরাতাইন’: তিনি প্রথমে হাবশা এবং পরবর্তীতে মদিনা তাইয়্যেবায় হিজরত করেছেন বলে তাঁকে ‘সাহেবুল হিজরাতাইন’ বলা হয়। নবুওয়াত প্রকাশের পঞ্চম বছরে মক্কার মুশরিকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রথম যে দলটি হাবশায় হিজরাত করেছিলেন তাঁদের মধ্যে হযরত ’ওসমান ও তাঁর স্ত্রী হযরত সৈয়্যদা রুকাইয়্যা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহাও ছিলেন। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেনঃ ‘হাবশার মাটিতে প্রথম হিজরাতকারী ছিলেন, হযরত ওসমান ও তাঁর স্ত্রী নবী দুহিতা সৈয়দা রুকাইয়্যা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুমা।’

ইসলাম গ্রহণ: তিনি ইসলাম গ্রহণকারী চারজনের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন। হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু যখন তাঁকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন তখন তিনি কোন ধরনের ইতস্ততা ও গড়িমসি করা ছাড়াই সাথে সাথে ইসলামের ডাকে সাড়া দেন। তিনি তাঁর ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, আমি একদিন রাসূল এ কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললাম: হে আল্লাহর রসূল! আমি যখন সিরিয়অ সফরে ছিলাম তখন স্বপ্নে শুনতে পেলাম কে যেন আমাকে ডেকে বলছে, উঠো উঠো! জেগে ওঠো! আর ঘুমের বিভরে থেকো না! মক্কায় সেই প্রতিশ্রæত নবী আহমদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশরীফ নিয়ে এসেছেন। তখন আর কাল বিলম্ব না করেই আপনার খেদমতে উপস্থিত হয়ে আপনার নূরানী হাতে ইসলাম কবুল করলাম।

ইসলামের খেদমতে তাঁর অনন্য অবদান : মানবকল্যাণ ও সামাজিক উন্নয়নে ইসলামের তৃতীয় খলিফা ওসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ছিলেন সদা নিবেদিতপ্রাণ। ইসলাম গ্রহণের পর থেকেই তিনি ইসলামের খেদমতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ছিলেন মক্কার একজন শ্রেষ্ঠ ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী। সম্মান, প্রতিপত্তি, জশ-খ্যাতি, বংশীয় আভিজাত্য এবং সম্পদের প্রাচুর্যতা কোন কিছুই তাঁকে ইসলামের সম্মান ও মর্যাদাকে অটুট ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
মুসলিমদের কঠিন দুর্যোগ ও দুঃসময়ে তিনি থাকতেন অগ্রণী ভূমিকায়।ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতে তিনি অকাতরে ব্যয় করেছে এবং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এই অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে অনেকবার বেহেস্তের শুভ সংবাদ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নিজেই দুইবার তাঁর নিজস্ব সম্পদের বিনিময়ে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে জান্নাত ক্রয় করে নিয়েছেন। তাঁর জনকল্যাণমূলক কাজ ও দ্বিনি পথে অর্থ ব্যয়ের প্রশংসা করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাত ক্রয়ের সুসংবাদ দিয়েছেন। সাহাবি হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে দুইবার জান্নাত ক্রয়ের সুসংবাদ পেয়েছেন রুমা কূপ ক্রয়ের দিন এবং সেনাদল প্রস্তুতিকালের দিন।

পানিসংকট দূরীকরণে ঐতিহাসিক ভূমিকা : মদিনায় হিজরতের পর মুসলিমরা সেখানে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির তীব্র সংকটে পড়ে। সে সময় ‘বিরে রূমা’ বা রূমা কূপ নামে মদিনায় এক ইহুদির একটি বড় কূপ ছিল। সে এই সংকটের সুযোগে মুসলিমদের কাছে চড়া মূল্যে পানি বিক্রি করা শুরু করল। বিষয়টি জানতে পেরে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত সবার সামনে ঘোষণা দিলেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে, যে এই কূপ ক্রয় করে মুসলিমদের জন্য ওয়াকফ করে দেবে? আর এটা যে করবে আল্লাহ, তাকে একটি জান্নাতে দান করবেন।’ ঘোষণা শুনে ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ইহুদির কাছে কূপটি বিক্রির প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু ইহুদি তা বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাল। উপায় না দেখে ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু অর্ধেক কূপ বিক্রির প্রস্তাব করলেন। আর এটা এভাবে যে কূপ থেকে এক দিন ইহুদি পানি নেবে, অন্যদিন তিনি। ইহুদি এতে সম্মত হলো। ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কূপ কেনার পর বিনা মূল্যে পানি বিতরণ শুরু করেন। লোকজন ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর নির্ধারিত দিনে পানি সংগ্রহ করত এবং পরের দিনের জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ করে রাখত। এতে ইহুদির পানির ব্যবসায় সংকট দেখা দিলে ইহুদি পুরো কূপটি বিক্রি করে দিল। ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহ ৩৫ হাজার দিরহামের বিনিময়ে পুরো কূপের মালিকানা লাভ করেন এবং তা থেকে মুসলমানরা বিনা মূল্যে পানি নেওয়া শুরু করে। পরে সর্বসাধারণের পানি পানের জন্য ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কূপটি ওয়াকফ করে দেন। (সিয়ারু আলামিন-নুবালা :২/৪৫২)

তাবুক যুদ্ধে বিপুল আর্থিক সহায়তা : তাবুক যুদ্ধে যাঁরা সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছিলেন, তাঁদের একজন ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু । তাবুক যুদ্ধের প্রস্তুতিকালে অধিক উট, ঘোড়া এবং হাজার হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে মুসলিমদের কঠিন সময়ে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। তাঁর উদারচিত্তে দানের এই চিত্র দেখে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুসংবাদ দিয়ে বললেন, ‘হে ওসমান! তোমার একনিষ্ঠ এই দানের বিনিময়ে আল্লাহ তোমার নির্জনে ও প্রকাশ্যের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর তোমার এই দানের সওয়াব কিয়ামত পর্যন্ত বাকি থাকবে। ’ (ফাযায়েলে সাহাবা: ৭৩৬)
আরেক বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাবুক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এক হাজার দিনার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোলে ঢেলে দেন। আবদুর রহমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি সেগুলো তাঁর কোলে ওলট-পালট করতে করতে বলতে শুনলাম, ‘আজকের পর থেকে ওসমান যে কার্যকলাপই করুক, তা তার কোনো অনিষ্ট করতে পারবে না। তিনি কথাটি দুইবার বলেন।’ (তিরমিজি: ৩৭০১)
একমাত্র বদর ছাড়া সকল যুদ্ধে তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে অংশগ্রহণ করেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বদর যুদ্ধে রওয়ানা হন, হযরত রুকাইয়্যা তখন রোগ শয্যায়। রাসূলের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশে হযরত ’ওসমান পীড়িত স্ত্রীর সেবার জন্য মদীনায় থেকে যান। বদরের বিজয়ের খবর যেদিন মদীনায় এসে পৌঁছুলো সেদিনই হযরত রুকাইয়্যা ইনতিকাল করেন। রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমানের জন্য বদরের যোদ্ধাদের মত সওয়াব ও গনীমতের অংশ ঘোষণা করেন। (তাবাকাতঃ ৩/৫৬) এ হিসেবে পরোক্ষভাবে তিনিও বদরী সাহাবী।
ধনী ও দানশীল এই মহান ব্যক্তি তাঁর জীবদ্দশায় মানুষের কল্যাণে বহু সম্পদ দান ও ওয়াকফ করেছেন। তাঁর সেসব দান ও ওয়াকফ করা সম্পদ দ্বারা মানুষ এখনো উপকৃত হচ্ছে।

পবিত্র কুরআন সংকলন : তৃতীয় খলিফা হজরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু-এর যুগে বেশকিছু যুগান্তকারী কাজ হয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো-পবিত্র কোরআনের একই পঠনরীতির উপর সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ করা। পবিত্র কুরআনের মূল সংকলক হলেন হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু। তাঁর সে সংকলনের উদ্দেশ্য ছিল লিখিতভাবে কোরআন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। কারণ সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে হাফেজে কোরআনদের একের পর এক ওফাত বরণ করায় কোরআনের কিছু অংশ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা করেন। তাই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগ থেকে বিভিন্ন সাহাবির কাছে কোরআনের সম্পূর্ণ অথবা অসম্পূর্ণ যেসব কপি বা পান্ডুলিপি নিজ নিজ সংগ্রহে ছিল তা একত্রিত করে একটি মাসহাফে সংকলন করেন। কিন্তু তাঁর সংকলিত কোরআনের পাশাপাশি সেসময়ে আরও কয়েকজন সাহাবি ‘কিরাতে সাবআ’ তথা কোরআন তিলাওয়াতের সাত পঠনরীতির অনুকরণে একাধিক প্রতিলিপি তৈরি করেন। কারণ, হযরত আবু বকরের সংকলিত সেসব কপির মধ্যে সমন্বয় সাধন কিংবা চূড়ান্ত বিচার-মীমাংসা করে অভিন্ন পঠন পদ্ধতি প্রণয়ন করা হয়নি; বরং এতে সর্বসাধারণের সুবিধার্থে সাত কেরাত বা সাতভাবে কোরআন পাঠের অবকাশ রাখা হয়েছে। ফলে ‘মাসহাফে আবি বকর’-এর পাশাপাশি আরো বহু ‘মাসহাফ’ তৈরি হতে থাকল এবং একেক শহরে একেক ক্বারীকে অনুসরণ করে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে মানুষ কোরআন পড়তে লাগল। এক পর্যায়ে দেখা যায়, বিভিন্ন শহরে কোরআন তিলাওয়াতের ‘কোন পাঠরীতি’ সঠিক-এ নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ফলে হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এই ফেতনা ও বিকৃঙ্খলা রোধেই পুনরায় কোরআন সংকলনের অভাব অনুভব করেন। এ লক্ষ্যেই তিনি অভিন্ন পঠনরীতিতে কোরআন লিপিবদ্ধ করেন এবং ওই প্রতিলিপিগুলো বিভিন্ন শহরে পাঠিয়ে দেন।
শাহাদাত : হযরত ওসমান রা: বিদ্রোহীদের কর্তৃক ৪০ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ৩৫ হিজরির ১৮ জিলহজ শুক্রবার, রোজা অবস্থায় শাহাদাতবরণ করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মতান্তরে ৬৩, ৭৫, ৮২, ৮৪, ৯০ বছর। তাঁর খিলাফতকাল ছিল ১২ দিন কম ১২ বছর।
তাঁর শাহাদাতের ফলে মুসলমানদের মধ্যে মতভেদ ও অনৈক্যের সূচনা হয়। মুসলমান নানা দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

লেখক : বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, খতীব, মুসাফিরখানা জামে মসজিদ