ইসলামে শ্রমের মর্যাদা এবং মালিক-শ্রমিক পারস্পরিক দায়িত্ব, কর্তব্য ও অধিকার

4

সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আযহারী

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। যাতে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের যাবতীয় বিষয়ে হিকমতপূর্ণ বিধান ও নীতিমালা বিদ্যমান। ইসলাম মানুষের জন্য যা কল্যাণকর ও হিতকর তা পালনে সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে এবং যা অকল্যাণ ও ক্ষতিকর তা হতে সর্তক করেছে। মানুষকে তার মেধা, শ্রম ও সময়ের যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে তার জীবন নির্বাহের অবলম্বন হিসেবে কোন একটি বৈধ পেশা গ্রহণ করার প্রতি তাকিদ দিয়েছে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। এগুলোর যোগান দিতে মানুষকে বেছে নিতে হয়; কৃষি, ব্যবসা-বানিজ্য, চাকুরী, শিল্প ইত্যাদি পন্থা। উপার্জনের মাধ্যম ব্যতীত কোন ব্যক্তির পক্ষেই তার মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। যেহেতু হালাল উপার্জন ইসলামী জীবনের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাই ইসলামের দিকনির্দেশনা হ’ল হালাল পথে জীবিকা উপার্জন করতে হবে। প্রতারণা, মিথ্যা, ধোঁকাবাজি, সূদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, জুয়া, মিথ্যাচার ইত্যাদির মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করা ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ‘‘ফরয আদায়ের পর হালাল পন্থায় উপার্জনও ফরয।’’ (বায়হাক্বী ১১৬৯৫)
আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু-সামগ্রী আহার করো, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রূযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় করো আল্লাহর, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে থাকো।’ (বাক্বারা- ১৭২)।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সমস্ত নবী-রাসূলকে উদ্দেশ্যে করে এরশাদ করেন, ‘হে রাসূলগণ! তোমরা হালাল খাদ্য গ্রহণ কর এবং নেক আমল কর। ’ (মুমিন- ৫১)।
শ্রমই হলো সব উন্নয়ন ও উৎপাদনের চাবিকাঠি। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী, সে জাতি তত বেশি উন্নতি লাভ করতে পারে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হালাল পন্থায় কাজ করে খাওয়াকে উৎসাহিত করেছেন। তিনি নিজ হাতে উপার্জন করে খেতেন এবং এটাই তিনি খুব বেশি পছন্দ ও স্বাছন্দ্যবোধ করতেন। বিনাশ্রমে অর্জন-উপার্জন করাকে তিনি ঘৃণা করতেন। নিজের পরিশ্রমলব্দ উপার্জনকে সর্বোত্তম উপার্জন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি এরশাদ করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আরয করা হ’ল, কোন প্রকার উপার্জন উত্তম। তিনি এরশাদ করেন, ‘হাতের কাজ এবং সকল প্রকার হালাল উপার্জন’। (আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১৬৮৮।)
তিনি এরশাদ আরও করেন, ‘কোন ব্যক্তি তা থেকে উত্তম আহার করেনি, যা সে নিজ হাতে উপার্জন করে আহার করেছে। আল্লাহর নবী দাউদ আলাইহিস সালাম নিজ হাতে উপার্জন করে আহার করতেন।’ [বুখারী: ২০৭২]।
শ্রম ও শ্রমিক আল্লাহর কাছে প্রিয় ও নবীগণের সুন্নত : শ্রম বা কাজ হলো নবীগণের সুন্নত। প্রায় প্রত্যেক নবী-রাসূলই জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো না কোনো বৈধ পেশা চয়ন করে নিয়েছেন। তাঁরা নিজেরা কাজ করে উম্মতকে শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন। সাথে সাথে এ বিষয়েও তাদেরকে অবহিত করে গেছেন যে, কোনো শ্রমই ম‚ল্যহীন নয়। প্রতিটি শ্রমই মর্যাদার এবং কোনো পেশাতে শ্রেণিবৈষম্য নেই। বরং পরিশ্রম করাই সর্বোত্তম কাজ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ‘শ্রমিক হলো আল্লাহর বন্ধু।’ (কানজুল উন্মাল)
তাই হযরত আদম আলাইহিস সালাম কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হযরত নুহ আলাইহিস সালাম কাঠের কাজ জানতেন। হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম বর্ম প্রস্তুত করতেন। হযরত ইদ্রিস আলাইহিস সালাম সেলাই কাজ করতেন। হযরত শুয়াইব আলাইহিস সালাম ও হযরত সালেহ আলাইহিস সালাম ব্যবসা করতেন। হযরত মুসা আলাইহিস সালাম মেষ চরাতেন। হযরত রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ‘আল্লাহ দুনিয়ায় এমন কোনো নবী পাঠাননি, যিনি ছাগল ও ভেড়া চরাননি। তখন সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ প্রিয় রাসুল! আপনিও? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমিও মজুরির বিনিময়ে মক্কাবাসীর ছাগল ও ভেড়া চরাতাম।’ (বোখারি)
সাহাবায়ে কিরামও প্রিয়নবীজির পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। হযরত আবু বকর, হযরত ওমর ও হযরত উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুম ব্যবসা করেছেন। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বিনিময়ের মাধ্যমে ক‚প থেকে পানি ওঠানোর কাজ করতেন। খাব্বাব রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু কর্মকার ছিলেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু মেষ ও বকরি চরাতেন। আনসার-সাহাবিরা সাধারণত কৃষিকাজ করতেন। আর মুহাজিররা ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদেরকে এ সব কাজে উৎসাহ প্রদান করতেন।

ভিক্ষাবৃত্তির প্রতি ইসলামের নিন্দা : ইসলাম যেমনিভাবে শ্রমের মর্যাদা প্রদানপূর্বক উৎসাহিত প্রদান করেছে; তেমনিভাবে প্ররিশ্রম না করে ঘৃণিত পেশা ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করেছে। ইসলামে ভিক্ষাবৃত্তিকে কখনো প্রশ্রয় দেয়া হয়নি। বরং কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি অভাব ব্যতীত ভিক্ষা করলো; সে যেন জাহান্নামের আগুন ভক্ষণ করলো। (মুসনাদে আহমদ: ৫১) তিনি আরও এরশাদ করেন, ‘ভিক্ষাবৃত্তি ক্ষত স্বরূপ; এর দ্বারা ভিক্ষুক মুখমন্ডলকে ক্ষত-বিক্ষত করে।’ (সুনানে নাসায়ি: ৯৮)
ইসলাম শুধু শ্রমের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেই শেষ করেনি; বরং শ্রমিক ও মালিকের মধ্যকার সম্পর্ক কীরূপ হবে এবং শ্রমিকের অধিকার সংরক্ষনে কী কী ন্যায়গত নীতিমালা প্রয়োজন তাও নির্ধারণ করে দিয়েছে। শ্রমিক ও নিজের অধীনস্থদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, তাদের ন্যায্য মজুরি না দেওয়া ও তাদের নির্যাতনের ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে কঠোরভাবে হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে। ইসলাম একটি পরিপ‚র্ণ জীবন বিধান হিসেবে পৃথিবীর ইতিহাসে খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষের প‚র্ণ অধিকার নিশ্চিত করেছে। শ্রম ও শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে প্রেরণার বাতিঘর ও অগ্রদ‚ত হলেন আমাদেও প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনিই শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার সুরক্ষার দাবিতে বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম আওয়াজ তোলেন।

ইসলামে শ্রমিকের প্রতি মর্যাদা : ইসলাম শ্রম ও শ্রমিকের প্রতি যথাযথ মর্যাদা দিয়েছে। কারণ শ্রম ছাড়া পৃথিবীতে কোনো কিছুই অর্জন করা যায় না। শ্রমই হলো সব উন্নয়ন ও উৎপাদনের চাবিকাঠি। হযরত সাদ রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু কামারের কাজ করতেন। হাতুড়ি দিয়ে কাজ করতে করতে তাঁর দুই হাত বিবর্ণ ও শক্ত হয়ে গিয়েছিল। এক দিন রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তিনি করমর্দন করলেন। তখন রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাদ রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুকে হাতের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, হাতুড়ি দিয়ে কাজ করতে গিয়ে এ অবস্থা হয়েছে। রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার হাত চুম্বন করে বললেন, এ হাতকে কখনো জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। (বোখারি)

মালিক-শ্রমিক পারস্পরিক সম্পর্ক : ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পদের সার্বভৌমত্ব ও মালিকানা আল্লাহ তাআলার, আর মানুষ তার তত্ত্বাবধায়ক মাত্র। সুতরাং এখানে মালিক-শ্রমিক পারস্পরিক সম্পর্ক হবে শ্রদ্ধা-স্নেহ, সৌহার্দ্য ও বিশ্বস্ততাপূর্ণ। ইসলামী শ্রমনীতিতে মালিক ও শ্রমিকের সম্পর্ক হবে ভাই-ভাই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। সুতরাং যার ভাইকে তার অধীন করেছেন সে যেন তাকে তাই খাওয়ায় যা সে খায়, সে কাপড় পরিধান করায়, যা সে পরিধান করে। তাকে তার সামর্থ্যরে অধিক কোনো কাজের দায়িত্ব দেবে না। যদি এমনটা করতেই হয়, তাহলে সে যেন তাকে সাহায্য করে। (বুখারি: ৫৬১৭)

মালিক-শ্রমিক পারস্পরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য : শ্রমিক ও মালিক উভয়ের যেভাবে পরস্পরের উপর অধিকার রয়েছে ঠিক সেভাবে উভয়ের উপর কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও রয়েছে। নিজ নিজ প্রাপ্য বুঝে পেতে হলে উভয়কে নিজ নিজ কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে হবে। ইসলাম মালিককে যেভাবে শ্রমিকের সঙ্গে সবদিক থেকে নিজের আপজনদের ন্যায়-আচরণ করতে বলেছে, ঠিক একইভাবে শ্রমিককেও মালিক কর্তৃক তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনেও সজাগ থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে এবং তার সামর্থ্য অনুযায়ী তা আদায় করতে বলেছে। পবিত্র কোরআনুল কারিমে বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেছেন : ‘সর্বোত্তম শ্রমিক সে, যে দৈহিক দিক থেকে শক্তিশালী ও আমানতদার।’ (সুরা কাসাস : ২৬)

সঠিক সময়ে বেতন পরিশোধ করা মালিকের দায়িত্ব: বেতন ও পারিশ্রমিক কর্মজীবীর অধিকার; ইসলাম দ্রুততম সময়ে তা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। (ইবনে মাজাহ-২৪৪৩০)
অন্য হাদিসে পারিশ্রমিক ও প্রাপ্য অধিকার নিয়ে টালবাহানাকে অবিচার হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, শ্রমিকের ধনী ব্যক্তির টালবাহানা অবিচার। (বুখারি: ২২৮৭)

শ্রমিকের প্রাপ্র আদায়ে গড়িমসি করাও হারাম : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে জাতির দুর্বল লোকেরা জোর-জবরদস্তি ছাড়া তাদের পাওনা আদায় করতে পারে না সেই জাতি কখনো পবিত্র হতে পারে না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৪২৬)

সম্মানজনক জীবন ও জীবিকা শ্রমিকের অধিকার : যেকোন অজুহাতে বেতন-ভাতা ও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা মারাত্মক অপরাধ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির বিপক্ষে আল্লাহ তাআলার দরবারে মামলা করব। তাদের মধ্যে একজন হলো সে ব্যক্তি; যে কাউকে শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার পর তা থেকে কাজ বুঝে নিয়েছে অথচ তার প্রাপ্য আদায় করেনি। (বুখারি- ২২২৭)
শ্রমিকের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মালিকেরই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, মালিকানাধীন অধীনস্ত ব্যক্তির খাবার ও কাপড়ের অধিকার রয়েছে। (মুসলিম: ১৬৬২)
মানবতার মুক্তির দিশারী প্রিয় নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে এরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের অধীনস্থদের প্রতি খেয়াল রাখবে। তোমরা যা খাবে তাদেরও তা খাওয়াবে, তোমরা যা পরবে তাদেরও তা পরাবে।’ (মুসলিম)
শ্রমিকের অধিকার ও মানবিক মর্যাদা এবং মালিকের প্রাপ্য সেবা লাভের এমন ভারসাম্যপূর্ণ শ্রমনীতি একমাত্র ইসলামই দিয়েছে। ইসলাম শ্রমের মর্যাদা, শ্রমিকের অধিকার ও মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের বিষয়ে যে নীতি-নির্দেশ প্রনয়ণ করেছে তা যথাযথ অনুসৃত হলে আজকের দিনে বিশ্বের কোটি কোটি শ্রমিককে তাদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করতে হতো না।

লেখক : বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, খতীব, মুসাফিরখানা জামে মসজিদ