আসলাম দম্পতির আয়কর নথি জব্দের আদেশ

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একইসঙ্গে আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলার আয়কর নথিও জব্দের আদেশ দেন আদালত।
গতকাল চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আবদুল আজিজ ভ‚ঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু জানান, গত ৭ মে আসলাম চৌধুরীর প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি ও তার স্ত্রী নাজনীন মাওলার সাড়ে চার কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভ‚ত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে দুদকের পক্ষ থেকে তাদের আয়কর নথি জব্দের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের ওই আবেদন নিয়ে বুধবার শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন।
১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৪১৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখার অভিযোগে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় গত ৫ মে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওই মামলায় আসলাম চৌধুরীর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন আদালত।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৪ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা ১৩ কোটি ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৩৬৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। এর মধ্যে নাজনীনের জ্ঞাত আয় বহির্ভ‚ত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় চার কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ টাকায়। ২০০৪ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন, যা এখন তদন্তাধীন। ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ-নাশকতা-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আট বছর ধরে কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা আছে।