নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিএমইএ নেতাদের এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বন্দর চেয়ারম্যানের নিজ কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিকূলতাসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বাংলাদেশের প্রধানতম রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারসহ সকলের সহযোগিতায় পোশাক শিল্পখাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ প্রেক্ষিতে তিনি পোশাক শিল্পের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প সম্পূর্ণ ‘টাইম-বাউন্ড’ শিল্প খাত। বিদেশি ক্রেতার নির্ধারিত লীড টাইমের মধ্যে রপ্তানিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠান মারাত্মক আর্থিক ক্ষতিতে পতিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে। তিনি শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের অন্যতম প্রধান সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশা করেন।
বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দরের নব-নিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান শীর্ষে। এ শিল্প দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে সচেষ্ট থাকার বিষয়ে বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন তিনি।বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনাসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নে বিজিএমইএ, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারসহ সর্বমহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ’র পরিচালক এম. এহসানুল হক, আমজাদ হোসাইন চৌধুরী, রাকিব আল নাসের, গাজী মো. শহীদউল্লাহসহ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
