আমজাদ হাজারীর বিরুদ্ধে দুদকের আরেক মামলা

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে আটকেছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক এপ্রেইজার আমজাদ হোসেন হাজারী। স্ত্রীসহ জেল কেটেছিলেন তিনি। এবার আরো অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে দুদক। গতকাল বুধবার দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ উপসহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বিপ্লব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আমজাদ হোসেন হাজারী ফেনী জেলার মাস্টারপাড়া এলাকার হাজারী বাড়ির মৃত নজির আহমেদ হাজারীর ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরের খুলশী থানার লালখানবাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর চাচা।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালের ২১ মার্চ আমজাদ হোসেনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেয় দুদক। তিনি একইবছরের ১৬ এপ্রিল সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। সেখানে তিনি নিজ নামে ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৭২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৯০ লাখ ৭ হাজার টাকা সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। যাচাইকালে তার নামে স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট ৯০ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় দুদক।একইসময়ে পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন ৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৯৭ লাখ ৬ হাজার টাকা।
ওই সম্পদের বিপরীতে তিনি ২০০০-০১ থেকে ২০১০-১১ করবছর পর্যন্ত ৯৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা আয়ের উৎস তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেন। তবে দুদক যাচাইকালে এই আয়ের গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। আমজাদ হোসেন ২০০৭-৮ করবছরে তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার স্ত্রী হালিমা বেগম লিপি একজন গৃহিনী। যার ফলে তার বৈধ আয়ের উৎস নেই। প্রকৃতপক্ষে আমজাদ হোসেনের অবৈধ আয় দ্বারাই ওই সম্পদ অর্জন করেছেন। অবৈধ আয় বাদ দিয়ে আমজাদ হোসেনের ১৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকার গ্রহণযোগ্য সম্পদ পেয়েছে দুদক। অর্থাৎ বাকি ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা তিনি অবৈধভাবে আয় করেছেন।
জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকার সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে আমজাদ হোসেন হাজারী দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা বা ভিন্ন কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তা আমলে নেয়া হবে।