আন্দোলন-সংগ্রামের সুতিকাগার চট্টগ্রাম সংস্কৃতিরও লালনক্ষেত্র

3

দেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামের সুতিকাগার চট্টগ্রাম বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেছেনে, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুথান, ৬ দফা ও ১১ দফা, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, ৭১ এর পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্র করে এবং দুষ্কৃতকারীদের মদদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে দাবিয়ে দেয়। বাংলাদেশ চলতে থাকে পরাজিত শক্তির মদদে। তারপর সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আন্দোলন সংগ্রাম করে এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমার সম্পৃক্ততা ছিল। একারণে আমাকে মামলা খেতে হয়েছে। জেলে যেতে হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি গ্যালারি হলে ওস্তাদ মোহন লাল দাস এর ৯৮তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। স্বপন কুমার দাসের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মাহফুজুল হক, বিশেষ আলোচক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মা ও শিশু এবং জেনারেল হাসপাতালের ডা. মইনুদ্দিন এম ইলিয়াস, প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। সকল সংগঠনগুলোর জন্যে আমি কিছু কাজ করতে চাই। ওস্তাদ মোহন লাল দাস এরকম বড় মাপের ব্যক্তিত্ব, তা আমার জানা ছিল না। আমি ওস্তাদ মোহনলাল দাস এর জন্য ফটিকছড়িতে কিছু করতে চাই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে একটি ৪৬ কোটি টাকার ব্রিজের কাজ চলমান রয়েছে। আমি চেষ্টা করছি ব্রিজের নাম অথবা ফটিকছড়ির যেকোনো একটি স্থাপনা ওস্তাদ মোহন লাল দাসের নামে নামকরণের। চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সংস্কৃতি চর্চা করার জন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে। চট্টগ্রাম হচ্ছে সংস্কৃতি লালন ক্ষেত্র।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি ওস্তাদ মোহন লাল দাস ও তার পুত্র স্বপন কুমার দাস এর সৃষ্টিকর্ম নিয়ে সাজানো হয়। শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অতিথিবৃন্দ সমগ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। শিল্পী আব্দুর রহিম, মরণে শিল্পী শিমুল শীল, পুরানা কন্ঠে সুবর্না রহমান, জনপ্রিয় শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, সংগীত প্রযোজক ও পরিচালক শিল্পী অভিষেক দাস, চ্যানেল আই সেরা কন্ঠশিল্পী বাউল জুয়েল দ্বীপ, বাউল লিটন নন্দী, চন্দ্রনাথ গোসাই, শিল্পী অনামিকা তালুকদার, বাউল মুজাহের, শিল্পী শামসুল হায়দার তুষার, শিল্পী নিগার সুলতানা নিহা, তৌহিদুল ইসলাম, আনন্দ প্রকৃতি ও তার দল, শিশু শিল্পী সমৃদ্ধি বাচিক শিল্পী ছিলেন কমিশন পান্থ (ত্রি তরঙ্গ) কবি ও সাংবাদিক ফারুক তাহের, মইনুদ্দিন এম ইলিয়াস প্রমুখ। প্রথমদিন ওস্তাদ মহানলাল দাস এর সন্তান কবি ও সাহিত্য বিশারদ ওস্তাদ স্বপন কুমার দাসের সভাপতিত্বে নাসরিন ইসলামের সঞ্চালনায় ২৮ জুন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত গুরু ওস্তাদ মোহহলাল দাসের ৯৮তম জন্মজয়ন্তী চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি গ্যালারি হলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরে আলম নিজামী প্রধান অতিথি ছিলেন। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের নির্বাহী পরিচালক ও যুগ্ম সচিব পীযূষ দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট কিরন শর্মা। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রুপম ভট্টাচার্য্য, সাংবাদিক আহমদ আলী। শেষে ওস্তাদ মহলাল দাস এর তার উত্তরসূরী স্বপন কুমার দাসের গান ও সৌর কবিতা নিয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বরেণ্য শিল্পীগণ এবং বাচিক শিল্পীগণ অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি