আনোয়ারায় কুরবানির জন্য প্রস্তুত ৬৭ হাজার পশু

4

খালেদ মনছুর, আনোয়ারা

আসন্ন ইদুল আযহা উপলক্ষে আনোয়ারায় চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। এবার কুরবানির জন্য আনোয়ারা উপজেলা জুড়ে ৫২ হাজার ৩৩৮ টি কুরবানির পশুর চাহিদা থাকলেও প্রস্তুত হয়েছে ৬৭ হাজার পশু। উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। এদিকে অসদুপায়ে পশু মোটা তাজা না করার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমর রঞ্জণ বড়ুয়া।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ছোট-বড় প্রায় ১০০টি খামার রয়েছে। এছাড়াও এই উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবার ব্যক্তিগতভাবে গরু, মহিষ, ছাগল পালনের সাথে জড়িত আছে। সব মিলিয়ে আনোয়ারা উপজেলায় কোরবানের জন্য ২৫ হাজার ৩৮৭টি ষাঁড়, ৮ হাজার ৬০২টি বলদ, ৩ হাজার ৩৫২টি গাভী, ৯ হাজার ৭১৮টি মহিষ, ১৬ হাজার ২৪৪টি ছাগল, ৩ হাজার ৪৬টি ভেড়া, অন্যান্য ১৪ টিসহ মোট ৬৬ হাজার ৩৬৩টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে আনোয়ারায় কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৫২ হাজার ৩৩৮টি। এতে করে আনোয়ারা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত পশু অন্য উপজেলার হাট-বাজারগুলোতেও বিক্রি করতে পারবে বলে জানান প্রাণীসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটা খামার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির জন্য মোটাতাজা করা গরুগুলো পৃথক করে রাখা হয়েছে। এসব গরুগুলোর আলাদাভাবে যতœ নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে কিনা এসব বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
খামারি মো. জসীম জানান, আগামী কুরবান উপলক্ষে আমার খামারে ৬১ টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। গরুগুলোকে নিয়মিত যতœ নেওয়া হচ্ছে। রোগ থেকে বাঁচাতে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে। বাজারে গোখাদ্যের দাম বেশি। ফলে গরুর মোটাতাজাকরণে খরচ বেশি হচ্ছে। এখন বাজারে সঠিক দাম পাব কিনা সেই চিন্তায় আছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সমরঞ্জন বড়ুয়া বলেন, পবিত্র কুরবানকারীদের একটা চিন্তা থাকে পশুগুলো অসদুপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে কিনা। এজন্য আমরা বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্প করছি। তাছাড়া বিভিন্ন ভেটেরিনারি ফার্মেসিতে নিম্নমানের ঔষধসামগ্রী না রাখার বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে। আনোয়রায় উপজেলায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পশু কোরবানি করে থাকেন। এবার কোরবানের জন্য প্রায় ৬৭ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে এবারের কুরবানিতে পশুর ঘাটতি থাকবেনা।