‘আধিপত্যের শিকার’ হয়েছি: ন্যান্সি

3

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন নির্যাতিত নিপীড়িত বহু মানুষ। সেই দলে আছেন শিল্পীরাও। সম্প্রতি কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সিও জানালেন কিছু চ্যানেলের আধিপত্যের শিকার হয়েছেন তিনি। একটি টিভি চ্যানেলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে গত ২০ আগস্ট ফেসবুকে একটি পোস্ট লিখেছেন ন্যান্সি। সেখানে কিছু টিভি চ্যানেলের মালিকানা ও পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন দাবি করেছেন তিনি। গান বাংলা চ্যানেলকে ‘প্রাণ বাংলা’ লিখে চ্যানেলটির ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই কণ্ঠশিল্পী।
ন্যান্সি লিখেছেন, ‘এই দেশে প্রাণ বাংলা নামে একটি গানের চ্যানেল ছিল। চ্যানেলটিতে সাদা পোশাক পরা স্বয়ং তানসেন ছিল। তানসেনের একজন বৌ ছিল। চ্যানেলটির গৃহপালিত অনেক শিল্পী ছিল। বৌটি সেসব শিল্পীর প্রিয় ভাবি ছিল। চ্যানেলটিতে এত বেশি শিল্পচর্চা হতো যে, সেখানে রাতভর সংগীত বিষয়ে গবেষণা হতো, সেটা আবার জাতি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে লাইভে দেখতে এবং শুনতে পেতো।’ গান বাংলা চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপসের ব্যান্ড তাপস অ্যান্ড ফ্রেন্ডসকে কটাক্ষ করে ন্যান্সি লিখেছেন, ‘তানসেন অ্যান্ড ফ্রেন্ডস বছরজুড়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাংলার আনাচে কানাচে জয়বাংলা কনসার্ট করে দর্শক মাতিয়ে রাখায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তানসেনের খালি কণ্ঠে গাওয়া ‘দে তালি বাঙালি’ গানে ‘পালায় না’ বলেও ভারতে পালিয়ে যাওয়া নেত্রী হাসিমুখে হাততালি দিয়েছেন। নেত্রীর অনুসারীগণ বিভিন্ন উপলক্ষে প্রায়শই কালো রং করা চ্যানেলটিতে গিয়ে নিজেদের জং ধরা কণ্ঠ ঝালাই দিতেন এবং বাহবা কুড়াতেন।’ স¤প্রতি বেশ কিছু টিভি চ্যানেলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কিছু চ্যানেল বন্ধ করার দাবি উঠেছে।
সেসবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ন্যান্সি লেখেন, ‘এখন কিছু টিভি চ্যানেল বন্ধের জোর দাবি উঠছে। বিগত সময়ে আমি বা আমরা বিতর্কিত কিছু চ্যানেলের আধিপত্যর শিকার হয়েছি। তবুও আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো টিভি চ্যানেল বন্ধের পক্ষে না। বরং প্রশ্নবিদ্ধ চ্যানেলগুলোর মালিকানা এবং পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হোক। কেননা বিগত সরকারের সময়ে অনেক চ্যানেলে মালিকপক্ষ মালিকানা হস্তান্তর, এমনকি অনেকে জোরপূর্বক নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। শোনা যায় ‘প্রাণ বাংলা’ নামের বাংলাদেশের একমাত্র গানের চ্যানেলটি প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে দখল করে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করি। চ্যানেলগুলো হতে হবে সরকারের চাটুকারিতা এবং রাজনীতির বলয় মুক্ত।’