আদর্শিক প্রজন্ম গঠনে সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই : চবি ভিসি

4

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় নিরন্তর শিক্ষিত মানুষ সৃষ্টি হচ্ছে বটে, তবে সুশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত অপ্রতুল। দেশে শিক্ষিত মানুষের আধিক্য পরিলক্ষিত হলেও এর সুফল সমাজ ও রাষ্ট্রভান্ডারকে মোটেও সমৃদ্ধ করছে না। একদিকে শিক্ষার হার ও শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বর্ধিষ্ণু। অপরদিকে প্রায় সর্বত্রই দৃশ্যমান হয় মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং নৈতিকতার সংকট। ফলশ্রুতিতে জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে অশ্লীলতা, দুর্নীতি ও রকমারী অপরাধ প্রবণতা। যেথায় কেবলই অশিক্ষিত সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে এমনটি নয়, বরং এতে দুঃখজনকভাবে দৃশ্যমান হয় শিক্ষিত মানুষদের সংশ্লিষ্টতাও। ফলে সামাজিক ও রাষ্ট্রকাঠামোতে ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা। এমনকি সুশিক্ষার অভাবেই সামাজিক শৃংখলার ব্যত্যয় ঘটছে প্রতিনিয়ত। তাই জাতীয় জীবনে একটি আদর্শিক প্রজন্ম গঠনে সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আদর্শিক প্রজন্ম গঠনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা শহীদ লিয়াকত স্মৃতি সংসদের প্রশংসা করেন।
সংসদের পরিচালক মুহাম্মদ আইয়ুব এর সভাপতিত্বে মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন ও মুহাম্মদ শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের এবং প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন।
প্রধান আলোচক বলেন, যে সমাজে আমরা বাস করি এটি সুস্থ এবং স্থিতিশীল নয়। কোনভাবেই এটিকে কাক্সিক্ষত এবং যুৎসই বলা যাবে না। নিদেনপক্ষে এটিকে ঘুণে ধরা একটি রুগ্ন সমাজই বলা যায়। সত্যিকার অর্থে প্রায় গোটা সামাজিক ব্যবস্থাপনাই আজ সংকটাপন্ন। জাতীয় জীবনে নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন, স্খলনমুক্ত, বিশুদ্ধ এবং আদর্শিক একটি প্রজন্ম সৃষ্টি মূল লক্ষ্য হলেও সেই গণআকাক্সক্ষা এখনও গুমরে মরছে।
অনুষ্ঠান প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন জাহেদ স্বাগত বক্তব্য দেন এবং সংসদের সচিব মুহাম্মদ মাসরুর রহমান শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংস্থার উপদেষ্টা কাজি মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, এম ইব্রাহীম আখতারী, স ম হামেদ হোসাইন, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, এম ওয়াহেদ মুরাদ, জয়নাল আবেদিন জিহাদী, সাবেক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আরিফ উদ্দিন, কাজী মুহাম্মদ আহসানুল আলম, মোহাম্মদ ফোরকান, ফরহানুল ইসলাম কাওছার।
গত ২ ডিসেম্বর সারাদেশের ৮৫টি কেন্দ্রে প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী শহীদ লিয়াকত স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ৩০২৫ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়। বিজ্ঞপ্তি