সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটি আগেই বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের মিশনকে আগে তারা অবহিত করেছিল। এটি প্রকাশ্যে সবাইকে জানানোর আগে তারা আমাদের জানিয়েছিল। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র জেনারেল আজিজকে ‘দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তার পরিবারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়। আজিজ আহমেদকে ‘ডেজিগনেটেড’ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করার ফলে তিনি কিংবা তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসানীতি কারও ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটি অন্য একটি আইনের অধীনে নেওয়া হয়েছে। জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেটি অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন (ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্ট) আইনের অধীনে বলে তিনি জানান।
সরকার কোনও ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আর্মির বিষয়, সেনাবাহিনীর বিষয়, আমি এ মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ডোনাল্ড লু এসে বলে গেছেন, দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তি আছে, এমন বিষয়গুলো পাশে রেখে আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাই। আমরাও তাদের একই কথা বলেছি। আমরা মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে এবং দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করছি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্যও দুর্নীতির দায়ে জেলে গেছেন বলে তিনি জানান।