আগামী সপ্তাহে আসছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

3

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাÐের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশন বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে পূর্ণ সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশন বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব যেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত হয়। যা পুরো পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এখন সিচুয়েশন এমন যে কোনো কিছু করতে গেলেই একধরনের সমালোচনা আসতে পারে। কাজেই আমরা চাইব তদন্তটা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবেই হোক। এ ক্ষেত্রে যা যা সহায়তা করা দরকার, আমরা সেটি করব।
তিনি বলেন, তারা স্বাধীনভাবেই তদন্ত করুক। তারা যদি এখানে তদন্ত করতে চান তাদের নিরাপত্তার বিষয়টাও আমাদের দেখতে হবে। তারা যতই স্বাধীনভাবে করুন না কেন সেখানে আমাদের ইনভলবমেন্ট থাকতেই হবে। কারণ এই সরকারও চায় একটা স্বচ্ছ তদন্ত হোক এবং তার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে শাস্তি দেওয়া হোক। কাউকে ঢালাওভাবে হয়রানি করা বা সামরিক ট্রায়ালের চিন্তা সরকারের নেই। আমরা পুরোপুরি আইন অনুযায়ী কাজটা করতে চাই।
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তাদের সঙ্গে গতানুগতিক আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে জাপানের সহায়তা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক খুব ভালো, সবসময়। কাজেই তাকে বলেছি আপনারা সহায়তা করুন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা যথেষ্ট করেছি, আমরা আর কোনো রোহিঙ্গাকে নিতে পারব না। পৃথিবীতে আরও অনেক দেশ আছে, এমনকি মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তওয়ালা দেশও অনেক আছে, দরকার হলে তারা নিক।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, যেহেতু রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আছে, আমাদের যা অবস্থান, আমরা তো যুদ্ধ করতে যাব না কারো সঙ্গে, পারবও না। সে জন্য আমাদেরকে দেখতে হবে, এই নিষেধাজ্ঞা রেজিমের মধ্য দিয়ে আমরা যতটুকু সহায়তা করতে পারি বা সম্পর্ক রক্ষা করতে পারি, এটার সর্বোচ্চটা আমরা করতে চাই। কারণ, সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিরাট সহায়তা দিয়েছে। ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত যদি তিনটা ভেটো না দিত আমাদের পক্ষে। কাজে সেই কৃতজ্ঞতা আমাদের আছে। তাদের একজন নাবিকের কবর আছে এখানে। সেটাও আমি বলেছি যে তোমাদের অবদান নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা সবসময় শ্রদ্ধাও করি, রুশ মানুষদের আমরা বন্ধু মনে করি। তবে আমাদেরকে নিরাপদ পথে চলতে হবে।
রূপপুর প্রকল্পের ব্যাপারে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা চলমান রাখার বিষয়ে আমরা যেন সহায়তা করি। আমরা বলেছি, অবশ্যই, বড় বিনিয়োগ তো ইতোমধ্যে হয়েই গেছে। এটার ফলাফল যদি আমরা না পাই, শেষ না হলে তো ফলাফল পাওয়া যাবে না। সেটার জন্য আমরা সহায়তা করব বলেছি।