আকাশে তীব্র ঝাঁকুনি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের

3

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যে উড়োজাহাজটি গত মঙ্গলবার মাঝ আকাশে তীব্র ঝাঁকুনির শিকার হয়েছিল সেটির ২২ যাত্রী মেরুদন্ডে গুরুতর আঘাত নিয়ে ব্যাংককে হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজটি মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরের উপর মারাত্মক টার্বুলেন্সের শিকার হওয়ার পর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সূবর্ণভূমি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। উড়োজাহাজটিতে মোট ২১১ জন যাত্রী এবং ১৮ জন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন যাত্রী টার্বুলেন্সের সময় হদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। খবর বিডিনিউজের
এয়ার লাইন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এখনও সব মিলিয়ে মোট ৪৬ জন যাত্রী ও ক্রু ব্যাংককে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি যাত্রীরা পরদিন ভোরে অন্য একটি উড়োজাহাজে সিঙ্গাপুর পৌঁছান। টার্বুলেন্সের শিকার হওয়া উড়োজাহাজটির যাত্রীদের কয়েকজন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তারা বলেন, তাদের মনে হয়েছিল হঠাৎ করেই উড়োজাহাজটি অনেকটা নিচে নেমে যায়। যে কারণে, যেসব যাত্রী সিটবেল্ট পরে ছিলেন না তারা ‘রকেট গতিতে ছিটকে উপরে উঠে গিয়ে কেবিনের সিলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খান’।
ব্যাংককের সামিতিভেজ শ্রীনাকারিন হাসপাতালের পরিচালক জানান, এখনও ৪১ জন যাত্রী তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে অর্ধেকই আইসিইউ তে রয়েছেন। ২২ জন যাত্রী মেরুদন্ডে আঘাত পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা গুরুতর এবং তাদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
যে যাত্রী মারা গেছেন তিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক, নাম জেফ কিচেন, বয়স ৭৩ বছর। টার্বুলেন্সের সময় তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেরুদন্ডে আঘাত প্রাপ্তরা ছাড়ও যারা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে ছয় জন মাথার খুলি ও মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছেন, ১৩ জন মাংসপেশী ও নরম কোষে আঘাত পেয়েছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. আদিনুন কিত্তিরাতানাপাইবোল বলেন, ১৭ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নয় জনের অস্ত্রোপচারের কারণ মেরুদÐে আঘাত। যাদের চিকিৎসা চলছে তাদের মধ্যে ১০ জন ব্রিটিশ, নয় জন অস্ট্রেলীয়, সাতজন মালয়েশিয়ার এবং চারজন ফিলিপিন্সের নাগরিক।