আওয়ামী সরকারের নির্মমতা ও পৈশাচিকতার ক্ষমা নেই

4

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনে স্বাধীনতাকামী ছাত্র-জনতার জাগরণ ঠেকানোর জন্য স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যে পৈশাচিক, অমানবিক ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য। নিরীহ, নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নির্মমতা আর পৈশচিকতা আইয়ামে জাহেলিয়াকেও হার মানিয়েছে। স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেশের জনগণ এমন জঘন্য ও হিংস্র কর্মকান্ড স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী থেকেও দেখেনি। গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে নির্বাসন দিয়ে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও লুটপাটতন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের কাঁধে বন্ধুকের নল ঠেকিয়ে- যেকোনে উপায়ে ক্ষমতায় থাকা। ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙে ১৫ বছরের সঞ্চিত ক্ষোভ ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে বিস্ফোরিত হয়েছে। জনরোষ থেকে বাঁচতে খুনী হাসিনা পদত্যাগ করে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখন আমাদের খুনী হাসিনা ও তার সকল অপকর্মের দোসরদের বিচার করতে হবে। দেশের নিরীহ, নিরস্ত্র প্রতিবাদী মানুষের রক্তে যাদের হাত রঞ্জিত হয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরোও বলেন, ক্ষমতার ও অর্থের মোহে অন্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতির সংস্কৃতি বিনষ্ট করে বিএনপি, বিরোধী মত সহ দেশের জনগণের উপর স্টিমরোলার চালিয়েছে। বয়োবৃদ্ধা, গুরুত্বর অসুস্থ সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ৭ বছর বন্ধি রেখেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশনায়ক তারেক রহমান করেছে নির্বাসিত। বিএনপির ৩৬ লক্ষেরও বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করে দেড় লক্ষেরও অধিক মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়েছিল। ১০ হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করেছে। সকল হামলা-মামলা উপেক্ষা করে আমরা রাজপথে লড়াই করেছি ক্ষমতা বা অর্থের মোহে নয়, আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার সহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তাই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি পতিত হায়েনা সরকারের সকল দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘অবস্থান কর্মসূচিতে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক এস এম মামুন মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম ফোরকান। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. ওসমান এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহব্বায়ক গিয়াস উদ্দিন ফয়সাল, আব্দুল গফুর মেম্বার, আব্দুল কাদের, আবু তৈয়ব কন্টা. দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস হায়দার নয়ন, এটিএম হানিফ, শেখ আহমদ মেম্বার, কাজী মাঈনুদ্দিন নিপু, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, মনিরউদ্দিন মুন্সী, সেলিম খান, এস এম ফারুক হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, বিএনপি নেতা এজাবত উল্লাহ, আলী আব্বাস, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মো. ছালেহ জহুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম, জসিম উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক নুরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম শামীম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের য্গ্মু আহব্বায়ক মাঈনুদ্দিন মনির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহব্বায়ক মো. ফারুক, সদস্য সচিব দিদারুল আলম, তৈয়বুল আলম অংকুর, শফিউল করিম, হারুনুর রশিদ, সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ। খবর বিজ্ঞপ্তির