আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ভিপি নুরের

3

গণ আন্দোলনের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।’ গতকাল বুধবার সচিবালয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এস সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবির কথা জানায় গত কয়েক বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসা দলটি। খবর বিডিনিউজের।
সব জেলা ও থানায় নতুন পুলিশ সুপার ও ওসি নিয়োগ, স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বিভাগীয় ডিআইজিসহ ‘দলবাজ’ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করে দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনা এবং পুলিশের নিরাপত্তার জন্য প্রতি থানায় সেনা সদস্য নিয়োগের দাবি জানায় দলটি।
পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনসহ পুলিশের সবস্তরের ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত করে জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা, কোনো সদস্যদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা, অন্যায় ভাবে চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ারও দাবি জানায় তারা।
সচিবালয় থেকে বের হয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠন গোছানোর একটা কথাৃ এতে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এটা ঠিক আওয়ামী লীগের অনেক ভালো ইতিহাস আছে, কিন্তু গত ১৫ বছরে তাদের যে ইতিহাস, পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম ইতিহাস।
‘সর্বশেষ যে শাসক গণহত্যা চালিয়ে বিদেশি আর্মি ইন্টারভেনশন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তার মত ‘দেশদ্রোহী ফ্যাসিস্ট’ প্রধানমন্ত্রী এবং তার রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে কোনোভাবেই রাজনীতি করতে পারে না।’
নূর বলেন,‘পরিষ্কারভাবেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এবং প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে সমগ্র দেশবাসী আন্দোলন করছে, প্রতিবাদ করছে। কাজেই যাদেরকে জনগণের সমর্থন দিয়ে আমরা ক্ষমতায় বসিয়েছি, তারা যদি জনমতের বিপরীত কথা বলেন, তাহলে একটা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত ছিলেন মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের নেতা বলেন, ‘তিনি বলেছেন তার বক্তব্য মিস কোড বা বিকৃতভাবে প্রচার হতে পারে। তিনি নিজেও এই ‘জালিম সরকারের’ দ্বারা ভুক্তভোগী হিসেবে আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। ‘তিনি উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা। কিন্তু সেনা অনুষ্ঠানে, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত পান না। তারাও ‘গণহত্যা’ চালানো ঘাতকদের বিচার চান।’